চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
বার্ধক্যজনিত কারণে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান আাছিয়া খাতুন (৭০)। বাড়িজুড়ে চলছিল মাতম। মৃত বৃদ্ধার পাশে বসে বিলাপ করছিলেন তার ছেলেমেয়েরা। সেই সময় তাদের বারবার সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন আছিয়া খাতুনের বড় ছেলে মুদি দোকান ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম (৫৫)।
কবর খোড়া, গোসল করানোর প্রস্ততি থেকে শুরু করে সব কিছুই একাই দেখভাল করছিলেন তিনি। তবে ব্যস্ততার মাঝেও বারবার এসে মৃত মায়ের মুখ দেখে যাচ্ছিলেন শফিকুল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শফিকুল। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রাত ১টার দিকে শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়গুয়াখড়া গ্রামে।
মায়ের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম মারা যান বলে সবার ধারণা। সোমবার বেলা ১১টায় বড় গুয়াখড়া গোরস্থানে মা-ছেলের একসাথে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, বড়গুয়াখড়া গ্রামের মৃত ফরমান আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম। পেশায় তিনি মুদি দোকান ব্যবসায়ী ছিলেন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে শফিকুল ইসলাম সবার বড়। শান্তশিষ্ট ও ধার্মিক মানুষ হিসেবে এলাকায় তার সুখ্যাতি ছিল।
বড়গুয়াখড়া গ্রামের রিপন রহমান নামে একজন বলেন, শফিকুল ইসলাম মা বলতে অন্ধ ছিলেন। মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল তার। হয়তো মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে পারেননি তিনি। তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে মা-ছেলের এমন মৃত্যু আমাদের ব্যথিত করেছে।