শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নামাজী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে’ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আগামীর ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে: আজহারী বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সভাপতি পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ‘কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা মানুষকে আলোকিত করে’ মসজিদে হারাম ও নববীতে তারাবি পড়াবেন ১৫ ইমাম সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন হবে : সিইসি স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নেজামে ইসলাম পার্টির চীন সফরে যাচ্ছেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কালেমা তাইয়্যেবা হচ্ছে ঐক্যের মূল সূত্র: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর

আগামী বছর আলমী শূরার বিশ্ব ইজতেমা হবে দুই পর্বে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: আগামী বছর থেকে আলমী শূরার তত্ত্বাবধানে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাবলিগের মুরব্বিগণ। এবছরের ইজতেমায় রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি ও তাদের অবস্থানের কষ্টের কারণেরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি ডা. কাজী শাহাবুদ্দীন আওয়ার ইসলামকে বলেন, এবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির সমাগম হওয়ায় ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তাদের থাকতে হয়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে থেকেছেন খোলা ময়দানে, অনেক টয়লেটের ছাদে, হাউজের পাশে। বাসস্টেশন, ট্রেন স্টেশন, ফুটপাত, স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল মাঠ, মসজিদের ফ্লোর এমনকি টঙ্গী থানাও মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য উন্মুক্ত করে ইজতেমায় সহায়তা করেছে পুলিশ প্রশাসন।

তিনি বলেন, তীব্র শীতে মুসল্লিরা এভাবে থাকার কারণে তাদের মধ্যে অনেকেরই ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দি, জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, পেট ব্যথা, অ্যাজমাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। টয়লেট, অজু-ইস্তেঞ্জা, গোসলসহ অনেকভাবেই তারা মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট করেছেন। ঠিক মতো রান্না করতে না পারার কারণে খাবারেরও কষ্ট করেছেন অনেকে। এই ময়দানে সবাই কষ্ট ও মুজাহাদার জন্যই আসেন। তবে এবারের কষ্টটা ছিল একটু বেশি। এ অবস্থায় আগামী বছর কোনোভাবেই একপর্বে ইজতেমা করা সম্ভব হবে না।

ডা. কাজী শাহাবুদ্দীন বলেন, সবকিছু মাথায় রেখে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আসন্ন ২০২৪ সালের আলমি শূরার বিশ্ব ইজতেমা ৫, ৬, ৭ জানুয়ারি প্রথমপর্ব মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে ১১, ১২, ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। প্রস্তাব রাখবো। তবে ফাইনাল সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকেই আসবে।

এবারের ইজতেমা আয়োজনের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলহামদুলিল্লাহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা ছিল। এমনকি শেষ দিকে এসে টঙ্গী থানাও মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ওসি সাহেব। তাদের কাছে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। তাছাড়া মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরো তিনদিন ইজতেমার ময়দানে নিজে থেকে সবকাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। এমনকি তিনি তাবলিগে তিন দিন সময় লাগানোরও ওয়াদা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার, প্রশাসন, সাধারণ মুসল্লি ও তাবলিগের ভাইদের সার্বিক সহায়তায় সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। তবে রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির কারণে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালনে বেগ পেতে হয়েছে। আগামী বছর যদি আলমী শুরার ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে তাহলে আরো সুন্দরভাবে ইজতেমা আয়োজন করা যাবে ইনশাআল্লাহ।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ