আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিদেশে বসে কেউ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি/বিচারেরর মুখোমুখি করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের করা এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী/অভিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট দেশে তাদের মেধা, শিক্ষা ও কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর পাশাপাশি স্বাগতিক দেশে তাদের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের নাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। স্বাগতিক দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণেও তারা অনেক সময় ভূমিকা রাখতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুঃখজনক হচ্ছে, ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রবাসী/অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু লোক দেশের বাইরে অবস্থান করে বাংলাদেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারনায় লিপ্ত হন। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উস্কানিমূলক ও সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য প্রদানকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির/বিচারের মুখোমুখি করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার মোকাবিলা করতে এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয় এবং অনলাইন মিডিয়াতে নিয়মিতভাবে তথ্যবহুল সংবাদ, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশের বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত প্রচেষ্টা চলমান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অসত্য ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ/প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ এসব প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল প্রতিবাদলিপি পাঠিয়ে থাকে, যা ওই সব গণমাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচার করা হয়ে থাকে।’
অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন- ফেসবুক পেজ ও টুইটারের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানানোর মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকল্পে কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ এবং বিদেশস্থ মিশনগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ বিষয়ক খবর বা আর্টিকেলগুলো নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হয় এবং অসত্য ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ/প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল প্রতিবাদলিপি ছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশনা পাঠিয়ে থাকে, যা ওই সব গণমাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচার করা হয়ে থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয় এবং অনলাইন মিডিয়াতে নিয়মিত তথ্যবহুল সংবাদ, প্রবন্ধ, ফিচার, ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অপপ্রচারকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন পোষ্টগুলো নজরদারি করা হয়।’
-এসআর