আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ব্যবহার করলে সমস্যা দেখা দিবে। কেননা এই যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট গ্রহণে কারসাজির সুযোগ রয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের আয়োজনে ‘ইভিএমে সমস্যা কোথায়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
ওয়েবিনারে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকক্ষে ইভিএমে একধরনের ডাকাত দেখা গেছে। কিন্তু আরেক ধরনের ডাকাত আছেন, যারা স্যুট-কোট পরা, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকেন। তারা সংখ্যায় খুব অল্প। এই অতি অল্পসংখ্যক ব্যক্তি ইভিএমে কারসাজি করতে পারেন। সেটা কাকপক্ষীও টের পাবে না। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলে নির্বাচন নিয়ে সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সাইফুর রহমান বলেন, যেটা করা উচিত নয়, ইভিএমে সেটা করা সম্ভব কি না, তা পরীক্ষা করতে হলে সোর্স কোড প্রয়োজন। কারণ, এমনও করা সম্ভব যে ভোট দেওয়ার বাটনে (বোতাম) ১০ বার চাপ দিয়ে অসংখ্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ভোটার যে প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন, তা সেই প্রতীকে যাচ্ছে কি না, তার কোনো প্রমাণ থাকছে না। তিনি বলেন, ইভিএম নয়, মূল বিষয় হলো নির্বাচনকালীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ভোডাফোনের (নেদারল্যান্ডস) সিনিয়র সল্যুশন আর্কিটেক্ট ফয়েজ আহমদ তৈয়ব। তিনি বলেন, ইভিএমের মূল সমস্যা হলো কেন্দ্রীয় ফলাফল তৈরি করা হয় হাতে লিখে। এখানে পেপার ট্রেইল (ভোটার কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন, তা ছাপা হয়ে বের হওয়া) নেই। এতে কারসাজির সুযোগ থাকে। এ বিষয়ে তিনি ২০২০ সালের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটি কেন্দ্রের ফলাফলের কথা তুলে ধরেন। সেখানে আগের রাতে প্রিন্ট করা ইভিএমের ফলাফল আর ভোটের দিন কেন্দ্র থেকে হাতে লিখে দেওয়া ফলাফল একই ছিল।
-এএ