আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জরুরি আলোচনায় বসছেন।
এই বৈঠক থেকে মিয়ানমার সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা চায় যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১০-১৩ নভেম্বর আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক গতকাল বুধবার বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থীদের এক দশকের অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বর্বর শাসনকার্য পরিচালনা করছে। তাছাড়া বেসামরিক হত্যা, স্কুলে বোমা হামলা, কর্মীদের মৃত্যুদণ্ড, শিক্ষকদের শিরচ্ছেদ করা এখন মিয়ানমারে নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা।
ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাটিজে মার্কিন কূটনীতিক বলেন, মিয়ানমারে সহিংসতা চলতে থাকলে আমরা নির্বিকার বসে থাকব না। জান্তা সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য ভুয়া নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
গত বছরের এপ্রিল থেকে আসিয়ান পাঁচ দফা পরিকল্পনায় সামান্য অগ্রগতি লাভ করতে পেরেছে। পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে ছিল, সহিংসতার অবসান, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং দুপক্ষের মধ্যে সংলাপের আহ্বান। পরিকল্পনাগুলোর অগ্রগতি কম হওয়ায় গত আগস্টে আসিয়ানের বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হতাশা প্রকাশ করেছিলেন বলেন জানান ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক।
২০২১ সালের ফেব্রিয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা সুচি ও তার সহযোগীদের আটক করে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু করে।
এদিকে মিয়ানমারেও সাধারণ মানুষ হত্যায় রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিদেক টম অ্যান্ড্রুজ। তিনি জান্তার প্রতি একযোগে নিষেধাজ্ঞা দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
নিউইয়র্কে সাংবকাদিকদের তিমি বলেন, ইউক্রেন ও মিয়ানমারে বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্রের উৎস এক। এসব অস্ত্র রাশিয়া থেকে আসা। রাশিয়া জান্তা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন তিনি।
-এটি