বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

অগ্নিসংযোগের ভয়ে বাস ধর্মঘট, দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে খুলনা, বরিশাল ও রংপুরে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা দাবি হিসেবে মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ইজিবাইক ও বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের কথা বলেছেন। তবে এই ধর্মঘট ডাকার পেছনে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণ আছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তার দাবি, অগ্নিসংযোগের ভয়ে সড়কে গাড়ি না নামিয়ে থাকতে পারেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ডাকা ধর্মঘটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে বাসমালিক-শ্রমিকেরা দেখেছেন অগ্নিসংযোগ কাকে বলে। বাস বের হলেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সেই যে আন্দোলন শুরু করেছে, সেটা শেষ করেনি। তারা বলেনি ওই আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন যদি মালিক-শ্রমিকেরা মনে করেন, তাদের বাস, ট্রাক তথা যানবাহনটি (হামলা থেকে) নিরাপদ নয়, তাহলে তারা রাস্তায় নামাতে না-ও পারেন। এ জন্য তো আমরা তাদের ফোর্স (বাধ্য) করছি না। এ ব্যাপারে তারা স্বাধীন, তারা কী করবেন, না করবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।’

তিনি বলেন, ‘তারা (মালিক-শ্রমিক) যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে মনে করেন বাসটি গেলে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আগের মতো যেমন বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। সে অভিজ্ঞতা তো রয়েছে। সে অভিজ্ঞতা থেকে তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’

বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সভা-সমাবেশ করা নিয়ে আমরা কোনো বাধা দিচ্ছি না। যেখানে করতে চাচ্ছে, সেখানেই করছে। এখন বাস আসবে কি আসবে না, সেটা নিয়ন্ত্রণ করে বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সমিতি। তারা কী করবে না করবে এটা তাদের ব্যাপার।

আজকের সভার আলোচনার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলগুলোকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে। বিআরটিএ তদারকি শুরু করবে। এ-সংক্রান্ত একটি কর্মসূচি বিআরটিএ ঘোষণা করবে। চালক বা শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট সহজ ও স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, টার্মিনালের বাইরে কোনো ট্রাক থেকে টোল নেওয়া যাবে না। এসব টোল মালিক-শ্রমিক সমিতি নির্ধারণও নিয়ে থাকে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো সড়ক থেকে সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না। কোথায়, কত টাকা টোল নেওয়া যাবে, সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। আমাদের বাস ও ট্রাক টার্মিনাল স্বল্প। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ