আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ বুধবার ঢাকায় আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল।
আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনের সফরে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি/এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা হবে।
পাশাপাশি আইএমএফের নতুন উদ্যোগ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশ ঋণসহায়তা পাবে কি না, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে উচ্চঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে এ ঝুঁকি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে ঋণসহায়তা দেওয়ার জন্য আরএসএফ গঠন করেছে আইএমএফ।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন আইএমএফের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সংকট কাটিয়ে উঠতে আইএমএফের ঋণ সহায়ক হবে। তবে, ঋণ নিতে হলে আইএমএফের শর্ত মানতে হবে।
এক দশক আগে বাংলাদেশ সাত কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের একটি বর্ধিত ঋণ সুবিধা (ইসিএফ) পেয়েছিল। ওই সময় ঋণের বিপরীতে একটি শর্ত ছিল ভ্যাট আইন প্রণয়ন করা।
এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো দুটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। প্রথমত— অর্থ দেয়ার ভারসাম্যে বড় ঘাটতি এবং দ্বিতীয়ত— বিনিময় হারনিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এখানেই আইএমএফ একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। আইএমএফের কর্মসূচি অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং আর্থিক নীতি সংস্কারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেই সংস্কারই হবে আসল জিনিস, যা আর্থিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবে।’
সম্প্রতি আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে— সংস্থার প্রতিনিধিদলের সফরের উদ্দেশ্য হলো কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়া। সম্প্রসারিত তহবিল সুবিধা কর্মসূচির ঋণ এবং সহনশীল ও টেকসই ট্রাস্ট ফান্ড (আরএসএফ) কর্মসূচিতে সম্ভাব্য প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা। এ আলোচনা আগামী মাসগুলোতে অব্যাহত থাকতে পারে।
আরএসএফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে— বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে এ ঝুঁকি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সহায়তা দেওয়া। সফরকালে আইএমএফ প্রতিনিধিরা অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে এসব বিষয়ে সংযুক্তি অব্যাহত রাখতে প্রয়াসী হবেন।
গত ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। এরপর জানা যায়— ঋণ পেতে হলে বাংলাদেশকে বিভিন্ন শর্ত মানতে হবে। মূলত এসব শর্ত ঠিক করতেই ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
-এএ