আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ড্রেজার ডুবে, গাছ ভেঙে পড়ে, দেয়াল ধসে এবং পানিতে ডুবে সারা দেশে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় এ মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে।
গতকাল সন্ধ্যায় ভারি বর্ষণ আর জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই উপকূলের জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়া আর ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
গতকাল সন্ধ্যা থেকেই উপকূলের বিভিন্ন জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এদিন গাছ পড়ে, দেয়াল ধসে, পানিতে ডুবে বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি ঘটে।
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ড্রেজার ডুবে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। আজ মঙ্গলবার তাদের মধ্যে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনও মারনা গেছেন বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
তাদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া জেলার সীতাকুণ্ডে এক শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সিত্রাংয়ের কারণে জোয়ারের পানিতে শিশুটি নিহত হয়ে লাশ ভেসে এসেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গতকাল রাত ১১টার দিকে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক দম্পতি মারা গেছেন। এ সময় তাদের চার বছরের শিশুও মারা গেছে।
সিত্রাংয়ে ভোলা সদর, জেলার দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের প্রাণ গেছে গাছের ডাল পড়ে, বাকি একজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার পাঁচ কাহনীয়া ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামে গাছ চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়েও দুজন নিহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকাডুবিতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আর পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবিতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল ঝড়ের সময় রাজধানীর হাজারীবাগে দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নড়াইলের লোহাগড়া, বরগুনা সদর, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় গাছ ভেঙে চাপা পড়ে একজন করে মারা গেছেন।
-এটি