আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে তেরো শতাধিক সদস্যকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া মৃত্যুদণ্ড কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পদপদবি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের বকেয়া বেতন, পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা না দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জিয়ার শাসনামলে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৮টি পরিবারের করা এক রিটের শুনানি হয় উচ্চ আদালতে। শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিটকারীদের আইনজীবী ইউসূফ হোসেন হুমায়ূন জানান, জিয়ার শাসনামলে সামরিক আদালতে ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগেই যে একতরফা সাজা হয়েছে ,অনেকের ফাঁসি হয়েছিল–এ সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি জানান, অবৈধ সাজাপ্রাপ্তদের বকেয়া বেতন, পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা এবং ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। অনেক রাজাকার এখন মুক্তিযোদ্ধা বলেও জানান উচ্চ আদালত।
এর আগে জিয়ার শাসনামলে ফাঁসি দেয়া কর্নেল তাহেরের বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। খন্দকার মোশতাক, বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণকে সংবিধানবহির্ভূত বেআইনি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় সামরিক বাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। কথিত সেই ট্রাইব্যুনালে বিচারে সেনা ও বিমানবাহিনীর তেরো শতাধিক সদস্যকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
হত্যার পাশাপাশি, লাশ গুম এবং অনেককে কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করা হয়। গবেষকদের মতে, ১৯৭৭ সালে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১ হাজার ১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসির দড়িতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করেন জেনারেল জিয়া।
-এটি