আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছে ১৭ জন। এতে আহত হয়েছে আরও তিনজন। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব চীনের চ্যাংচুন শহরের ওই রেস্তোরাঁর আগুনে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় ১২টা ৪০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুরু করে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান।
দুপুর তিনটার মধ্যেই উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কী কারণে ওই আগুনের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চীনের জিলিন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংচুন শহর একটি গাড়ি উৎপাদনকারী কেন্দ্র হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রেস্তোরাঁয় আগুনের কারণ জানতে এরিমধ্যে মাঠে নেমেছে তদন্ত দল। এক্ষেত্রে ভবন নির্মাণে নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে না চলা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চীনে বহুতল ভবন নির্মাণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিধি মানা হয় না বলে অভিযোগ আছে। যথাযথ অনুমোদন ছাড়াও বহুতল নির্মাণের ঘটনাও অতি সাধারণ।
ফলে, প্রায়ই সেই দেশে মারাত্মক আগুনের ঘটনা ঘটে। চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় চীনের শহর চাংশায় বিশাল আগুনে একটি আকাশচুম্বী বহুতল ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো।
ওই ভবনে চীনের সরকারি টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার অফিস ছিল। তবে ওই ঘটনা কারোর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত বছরের জুলাই মাসে জিলিন প্রদেশেই একটি গুদামে আগুন লেগে ১৫ জন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
তার আগে মধ্য হেনান প্রদেশের একটি মার্শাল আর্ট স্কুলে আগুনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে বেইজিংয়ের অভিবাসী পাড়ায় জোড়া আগুনে ২৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০১০ সালে সাংহাইয়ে একটি বহুতল আবাসনে আগুনে পুড়ে ৫৮ জন মারা গিয়েছিলো।
-এটি