আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির মরহুম সদস্য ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতিসংঘের বিবিসির সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন আগামী নির্বাচন কি সুষ্ঠু হবে? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু এ কথা বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪টি আসন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। একথা দেশি-বিদেশি সকলেই জানে। তারপরও কিভাবে বলে দিল আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এ দেশের গণতন্ত্রের সু বাতাস বয়েছে।
তিনি বলেন, কারা বললেন যারা ৭৫ সালে সকল দলকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৪ সালের আগে থেকে এখনো গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে, সেই গায়ের জোরে সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন গণতন্ত্রের বাতাস বয়েছে।
খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, আসলে এটা সকলেই জানে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন এদেশের অর্থনীতির লুটপাট হয়। গত ১৪ বছর কিভাবে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে এটাও সকলে জানে। দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে যারা দেশের মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে, যারা দেশের অর্থনীতি লুটপাট করেছে। যাদের লুটপাটের কারণে দেশের জ্বালানি তেলের এ অবস্থা, ডলার লুটপাট করেছে যার কারণে মানুষ আমদানি করতে পারছে না। এরা যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ধ্বংস স্তূপের দিকে যাচ্ছে এটা আর রক্ষা হবে না। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনগণ তাদের নিজ হাতে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করুক সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হই। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
-এসআর