সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে: জাতিসঙ্ঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারীরা বলছেন, ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণকারী রুশ বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করেছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইউক্রেন বিষয়ক নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদে তাদের অনুসন্ধানের ফলাফল উপস্থাপন করেছে।

কিয়েভ, চেরনিহিভ, খারকিভ ও সুমি অঞ্চলে সংঘটিত ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সংঘঠিত ঘটনাবলীকে কেন্দ্রে রেখে কমিশন তাদের অনুসন্ধান চালায়। কমিশন বলছে, তারা বেশ কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিস্ফোরক অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার, বেসামরিক এলাকায় নির্বিচার হামলা, নির্যাতন, এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা।

কমিশনের প্রধান এরিক মেসি বলেন, রাশিয়ার বিস্ফোরক অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বেসামরিক মানুষের জন্য ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি করে এবং জাতিসঙ্ঘ পর্যবেক্ষকদের লিপিবদ্ধ করা বেশিরভাগ মৃত্যুর জন্যই এটা দায়ী।

তিনি বলেন, তদন্তকারীরা ১৬টি শহর ও বসতি পরিদর্শন করেছেন। সেগুলোতে বিপুল সংখ্যক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারা হতভম্ভ হয়ে পড়েন।
মেসি বলেন, এমন অপরাধের অভিন্ন কয়েকটি উপাদান আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের আগে থেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের শরীরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার দৃশ্যমান চিহ্ন রয়েছে, যেমন পিছমোড়া করে বাঁধা হাত, মাথায় গুলির ক্ষত ও কাটা গলার মতো চিহ্ন।

ঘটনার শিকার ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে কমিশন। মেসি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা সবাই দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের একইরকম বর্ণনা দিয়েছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাদেরকে রুশ ফেডারেশনে অবস্থিত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে তাদের প্রহার, বৈদ্যুতিক শক ও অন্যান্য নির্যাতনের শিকারে পরিণত করা হয়।

মেসি বলেন, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনাগুলোর তদন্তে দেখা যায়, চার থেকে ৮২ বছর বয়সীরা রুশ সৈন্যদের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

শুনানিতে রাশিয়া উপস্থিত হয়নি। এই ঘটনার পর জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদের সভাপতি বলেছেন যে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ