সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মিয়ানমারের জান্তার স্বীকৃতি ঠেকানোর চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বৈশ্বিক স্বীকৃতি ঠেকাতে মিত্র দেশগুলোসহ বিশ্বসম্প্রদায়কে নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি দেশটি মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলেট গত বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইট বার্তায় মিয়ানমারের প্রবাসী সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি প্রকাশ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, আজ আমি বার্মার (মিয়ানমারের) গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মিয়ানমারকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে ফেরানো নিশ্চিত করতে নৃগোষ্ঠীগুলোসহ বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া অপরিহার্য।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে এমন সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন ডেরেক শোলেট। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী লড়াই তীব্র হয়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা ডেরেক শোলেট গত বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি মিয়ানমারের জান্তাকে স্বীকৃতি না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি জান্তা আয়োজিত কোনো নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়কে আহ্বান জানান।

ডেরেক শোলেট বলেন, মিয়ানমারের জান্তার ওপর আরো চাপ সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব আনার চেষ্টা করছে। ওই উদ্যোগ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদে চীনের কারণে ওই প্রস্তাব নিয়ে কত দূর অগ্রসর হওয়া যাবে, তা নিয়ে তাদের শঙ্কা আছে। সব বাস্তবতা আমলে নিয়েই জান্তার স্বীকৃতি ঠেকানো এবং আরো চাপ সৃষ্টির ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জাতিসংঘে ওই দেশের রাষ্ট্রদূত জান্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এনইউজি নিজেকে মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করে তাদের মনোনীত রাষ্ট্রদূতকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায় জাতিসংঘকে।

অন্যদিকে জান্তা কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘে নতুন রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন দিলেও ক্রেডেনশিয়াল কমিটি এখনো তা অনুমোদন দেয়নি। এর ফলে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত পদ নিয়ে জটিলতা কাটেনি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ