আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টাঙ্গাঁইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়োগ করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে ইসলামধর্ম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটা মুসলমানের সাথে তামাশার শামিল। এধরণের ঘটনা দেশের কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত। দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসায় হিন্দু অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যা দেশের ঈমানদার জনতার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত। নেতৃবৃন্দ অনিতিবিলম্বে টাঙ্গাইল দারুল উলুম মাদরাসায় একজন মুসলমান প্রিন্সিপাল নিয়োগ প্রদান এবং এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোর দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মুহাম্মদ আব্দুল আঊয়াল মজুমদার এক যুক্ত বিবৃতিতে টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা হয়েছে।
এধরনের ঘটনাকে কোনভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এটা পরিকল্পিত ঘটনা। ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অংশ। মাদরাসার প্রিন্সিপাল গতানুতিক কোন পদ পদবী নয়। মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদবীর সাথে আন্তরিক বোধ ও বিশ্বাস তথা ঈমান জড়িত। আরবী ভাষা জ্ঞান, কোরআন-সুন্নাহর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
সেইসাথে কোরআন ও হাদীসের উপর পরিপূর্ণ আমল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত করে ইসলামী শিক্ষা তথা কোরআন-সুন্নাহর সাথে চরম বেয়াদবি করা হয়েছে। অবিলম্বে হিন্দা ধর্মাবলম্বীর নিয়োগ বাতিল এবং এ ঘটানার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
-এটি