আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সামরিক আদালত তাকে এ কারাদণ্ডাদেশ দেন।
গত আগস্টে অং সান সুচিকে ছয় বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন দেশটির সামরিক আদালত। এর আগেও দুর্নীতি, জান্তাবিরোধী আন্দোলনে উসকানি, করোনার বিধিনিষেধ এবং টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় সু চি’কে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন সু চি। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে। সু চি’র বিচারে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তার আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
তার বিচার চলাকালে সাংবাদিকদেরও উপস্থিত হতে দেয়া হয় না। সু চি’র সমর্থক গোষ্ঠী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তার সম্মানহানির চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সু চি’র দণ্ডকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তার মুক্তি দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সামরিক বাহিনী বলছে, একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে প্রাপ্য আইনি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চলছে।
-এএ