আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিজয়ের শতবর্ষ উদযাপন করছে তুরস্ক। এ উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িব এরদোগান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধি অনিতকবির পরিদর্শন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এরদোয়ান। এ সময় তুরস্কের জাতীয় সঙ্গীতের পর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
অনিতকবিরের স্মারক বইতে এরদোগান লেখেন, ‘প্রিয় আতাতুর্ক, আজ মহান বিজয়ের ১০০তম বার্ষিকী, যা আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড়। আমরা আপনার কমরেড-ইন-আর্মস, গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিশিষ্ট সদস্য এবং আমাদের সাধু শহীদদের স্মরণ করছি।’
এরদোগার তুর্কি প্রজাতন্ত্রকে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর সাথে সঙ্গতি রেখে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা এবং কূটনীতিতে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, তুরস্ক মহামারিকে অতি সক্ষমতার সাথে পরাজিত করেছে। আমরা আঞ্চলিক সংঘাত সফলভাবে পরিচালনা করছি এবং তুরস্কের শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলো সমগ্র বিশ্বে আজ প্রশংসিত।
তিনি বলেন, অত্যাচারীদের ষড়যন্ত্র বা রক্তাক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের আক্রমণ উভয়ই একটি ক্রমবর্ধমান সংকট। তবে তারা শক্তিশালী তুরস্ক নির্মাণ রোধ করতে সক্ষম হবে না, যা নিপীড়িতদেরও আশা। পরে রাজধানী আঙ্কারায় তুরস্কের রাষ্ট্রীয় কবরস্থান পরিদর্শন করেন এরদোয়ান।
প্রেসিডেন্ট বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কোনো অপশক্তিই তুরস্ককে বৈশ্বিক ব্যবস্থায় উত্থান, শক্তিশালী ও তার প্রাপ্য স্থান নিতে বাধা দিতে পারবে না।
তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) শেষে অটোমান সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর মিত্র বাহিনী তুরস্ক দখল করে। বিদেশি দখলদারিত্ব ১৯১৯ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের পেক্ষাপট তৈরি করে। এরপর কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুর্কি বাহিনী আনাতোলিয়া থেকে দখলকারীদের তাড়িয়ে দেয়।
১৯২২ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত তুর্কি বাহিনী পশ্চিম কুতাহিয়া প্রদেশে ডুমলুপিনার যুদ্ধে লড়াই করে। এই যুদ্ধে গ্রিক বাহিনী চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছিল। ১৯২২ সালের শেষের দিকে সমস্ত বিদেশি বাহিনী সেই অঞ্চল ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এক বছর পরে সম্মিলিতভাবে যা নতুন তুর্কি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
-এটি