আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দ্বীনি, সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন পূর্ব সুয়াবিল ইসলামী পাঠাগারের ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ মে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে নাজিরহাট হোটেল বিএফসিতে পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী হাফেজ ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে ও পাঠাগারের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আরব আমিরাত কালচারাল ইসলামিক সেন্টারের দাঈ ও নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার সম্মানিত সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা রহিম উদ্দিন সাহেব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পাঠাগার মানেই জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। এ পাঠাগার বা ইসলামি সংগঠন হচ্ছে রাসূল সা. এর কিশোর বয়সের 'হিলফুল ফুযুলের উত্তরসুরী। রাসূল সা. কিশোর বয়সেই 'হিলফুল ফুযুল' নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের সহায়তা ও মজলুমদের অধিকার আদায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
তাই সংগঠনের দায়িত্বশীলদের কে সমাজের গরীব, দুঃখী, অসহায় ও মজলুম মানুষদের পাশে দাড়াতে হবে। পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন ও নৈতিক শিক্ষায় নিজেদের মনোনিবেশ করতে হবে। কেননা আল্লাহর কালাম পবিত্র কুরআনের প্রথম কথা হচ্ছে ইকরা বা 'পড়ো'।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও পূৃর্ব সুয়াবিল ইসলামী পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী হাফেজ আহমদ ইসলামাবাদী বলেন, সংগঠনের প্রত্যাক দায়িত্বশীলদের কে সংগঠনের প্রতি সর্বোচ্চ ত্যাগ ও আনুগত্য পালনে সচেষ্ট হতে হবে। সর্বদা সংগঠনকে নিজের জীবনের ন্যায় ভালবাসতে হবে। মেধা, শ্রম, অর্থ, সময় দেয়ার পাশাপাশি সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলি অর্জন করতে হবে। সর্বদা বই পাঠ এবং জ্ঞান অর্জনে সময় ব্যায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি সমাজকে সুন্দররুপে গড়ে তুলতে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগারের বিকল্প নেই। তাই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, প্রতিটি গ্রামে অত্যন্ত একটি পাঠাগার তৈরী করা সরকার ও রাষ্ট্রের একান্ত কর্তব্য। পাঠাগার প্রতিষ্ঠায় সমাজের বিত্তবান, জ্ঞানী, গুণী ও শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন পাঠাগারের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ মুহিব্বল্লাহ, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আমান উল্লাহ,
স্কুল কলেজ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, সহ পাঠাগার সম্পাদক হাফেজ সাহাল, সদস্য আবু সাঈদ হাফেজ আহমদুর রহমান শরীফ প্রমুখ।
পরে মাওলানা রহিম উদ্দিন সাহেবের মুনাজাতের মাধ্যমে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
-এটি