আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলতি সপ্তাহ শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি এবং কালবৈশাখী দিয়ে। এতে অনেক জায়গায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে রমজানে গরম থেকে স্বস্তিতে ছিল মানুষ। সেই স্বস্তি দীর্ঘ হলো না।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এতে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর মধ্যে রাজধানীর সড়কে জ্যাম যেন গরমের ওপর ‘বিষফোঁড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা হলে সেটা তীব্র তাপপ্রবাহের পর্যায়ে পড়ে। সেই হিসেবে চার জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। চার জেলা হলো- রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। এর মধ্যে রাজশাহী, ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল- বরিশাল, পটুয়াখালী, দিনাজপুর, নীলফামারী ও রাঙামাটি অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে। তবে আগামী দু-তিন তাপমাত্রা কমার কোনো সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এর চেয়ে অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার আগামী দু-তিন দিন তাপপ্রবাহ কমারও সম্ভাবনা নেই। এখন যে মৌসুম তাতে গরম থাকবেই। আবার বৃষ্টিও হবে, তখন তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। সপ্তাহের শেষ নাগাদ এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবারও একই ধরনের তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় কাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। দুদিন ধরে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ অবস্থায় জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সকাল ১০টার পর থেকে তীব্র তাপে বাইরে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা ছিল সারা দিন। সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় সারা রাত থাকছে গরম অনুভূতি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, গত শুক্র, শনি ও রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। সোমবারও ছিল তীব্র গরম ও দাবদাহ। রবি ও সোমবার তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। এ অবস্থা আরো কয়েক দিন থাকতে পারে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, সোমবার বিকেল ৫টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীর আকাশ পরিষ্কার রয়েছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই।
এনটি