আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে।
তবে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই কমলাপুর স্টেশনে লাইন দীর্ঘ করতে থাকেন টিকিট প্রত্যাশীরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতেই শুরু হয়েছে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার এ লড়াই।
করোনা জটিলতার দু'বছর পর প্রিয়জনের সঙ্গে হবে ঈদ। তাই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। জনসমুদ্র পার হয়ে লক্ষ্য একটাই, চাই স্বপ্নের সোনার হরিণ ট্রেনের আগাম টিকিট।
২৭ এপ্রিলের আগাম টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। তবে আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই লাইনে জড়ো হতে থাকে ঘরমুখো মানুষ।
আজ দেওয়া হচ্ছে ৩৭টি ট্রেনের ২৬ হাজার ৭০০ টিকিট। এরমধ্যে স্টেশন থেকে অর্ধেক, বাকিটা অনলাইনে। তবে সার্ভার জটিলতার অভিযোগ করে যাত্রীরা চাইছেন ভোগান্তির অবসান।
অনলাইন ছাড়াও রাজধানীর কমলাপুর, বিমানবন্দর, তেজগাঁও, বনানী ও গুলিস্তান পুরাতন রেলস্টেশনের ৭৭টি কাউন্টারে ঈদের টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কমলাপুর স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামী ও খুলনা অঞ্চলগামী ১৬টি ট্রেনের টিকিট।
এদিকে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ছয়টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে। সেগুলো হচ্ছে চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এক জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া, খুলনা স্পেশাল এক জোড়া। তবে এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে না।
অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে। এ ছাড়া কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
বিক্রি করা ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
-এএ