আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্টেডিয়ামের কথা শুনলেই মাথায় খেলাধুলার চিত্র ভেসে ওঠে। কিন্তু স্টেডিয়ামে যে খেলাধুলা ছাড়াও আরো অন্য আয়োজনও করা যায় এবং তাতে অসংখ্য দর্শকও উপস্থিত হয়, তা দেখালো তানজানিয়া।
গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) তানজানিয়ার দারুস সালাম নগরীর বিনইয়ামিন মাকায়া জাতীয় স্টেডিয়ামে আফ্রিকার ২২তম পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে উপস্থিত হয়েছেন কুরআনপ্রেমী প্রচুর দর্শক।
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত প্রতিযোগীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আল হিকমাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এতে তানজানিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি সামিয়া সুলুহু হাসানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জানজিবার দ্বীপপুঞ্জের প্রধান হুসাইন আলি মুওয়াইনিসহ সরকারের প্রতিনিধি, মন্ত্রী ও বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় হুসাইন আলি মওয়াইনি বলেন, কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা তানজানিয়ার মানুষের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সারাবিশ্বের মানুষ তা দেখার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে তানজানিয়ার পরিচিতি ও সুনাম বাড়ছে।
কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি কাসেম মাজালিও বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস। পবিত্র এ মাস উপলক্ষে সারাবিশ্বের সব মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানাই।
পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজনে সহযোগিতা করায় তানজানিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন আল হিকমাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শায়খ নরুদিন কিসাক।
ইতোমধ্যেই স্টেডিয়ামে তানজানিয়ার এই কুরআন প্রতিযোগিতার ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আরব ও আরব দুনিয়ার বাইরের লোকরাও স্টেডিয়ামে এতো বড় পরিসরে সুন্দর এই আয়োজনের জন্য তানজানিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উবাইদাহ নামের একজন লিখেছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে ৬০ হাজার দর্শকরে উপস্থিতিতে আফ্রিকার প্রধান কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো।’ এতে তিনি খুশি প্রকাশ করেছেন।
নাসিম নামের এক কুরআনপ্রেমী টুইটারে লিখেছেন, ‘এটি কোনো ফুটবল ম্যাচ নয়; বরং কুরআন শোনার মঞ্চ।’
এই প্রতিযোগিতাকে আফ্রিকায় ইসলামের সবচেয়ে বড় ইতবাচক ঘটনা আখ্যায়িত করেছেন হামদি জিওয়ার নামে আরেক টুইটার ব্যবহারকারী।
সূত্র: আরাবি২১ ডটকম
এনটি