আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করা হয়। এতে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতনের’ মতো অভিযোগ থাকলেও তারা ‘দায়মুক্তি’ পেয়ে আসছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মূল্যায়নও একই রকম।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এসব রিপোর্ট মানুষের কাছ থেকে শুনে করা হয়েছে।’
অবশ্য সালমানের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে হাস বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আমরা মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করি। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এটি করা হয়। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে এই প্রতিবেদন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না ‘
গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করা হয়।
এতে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতনের’ মতো অভিযোগ থাকলেও তারা ‘দায়মুক্তি’ পেয়ে আসছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে সমকামিতা একটি অপরাধ এবং এ কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করা হয়।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন বিষয়ে ব্যাখা চাইবে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গত রোববার সাংবাদিকদের জানান।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বিষয়ে যে রিপোর্টগুলো প্রকাশ করে তা স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনে করা হয়।
‘তাই সব রিপোর্টে সঠিক তথ্য থাকে না। তাছাড়া রিপোর্টগুলো নিয়ে তদন্তও হয় না। মানবাধিকারের সব রিপোর্ট সঠিক নয়। সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে রিপোর্টগুলো শুনে করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে।’
বৈঠকে জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।
আগামী মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি কোম্পানির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে করবে যেখানে জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘এটি একটি সফল বৈঠক ছিল। দুই দেশের অর্থনীতির সহযোগিতার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
‘আমি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে বলেছি আর্থিক খাত হতে পারে আমাদের দুই দেশের যৌথ উন্নয়নের একটি ক্ষেত্র। আগামী মাসের শুরুতে আমাদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসছে। আসন্ন বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’
জুন মাসে যৌথ অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে সালমান এফ রহমান যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলে জানান তিনি।
এনটি