সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

যেমন কাটছে ইউক্রেনীয় মুসলি*মদের রমজান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যখন সারাক্ষণ আপনার চারপাশে সাইরেন বাজতে থাকবে, যখন চোখের সামনে কেবল ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্কুল, হাসপাতাল ও ঘরবাড়ি, তখন আপনি কীভাবে স্বাভাবিক থাকবেন আর কীভাবে রোজা পালন করবেন?

প্রশ্নটি ইউক্রেনের বাসিন্দা নিয়ারা মামুতোভার। তিনি বলেন, মৃতদেহ ও পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি দেখে আমরা অসুস্থ হয়ে গেছি। রোজাতে তাই আমাদের কষ্ট অনেক বেড়ে গেছে। খবর বিবিসি।

২০১৪ সালে যখন রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়, তখন জাতিগতভাবে তাতার নাগরিক নিয়ারা সেখান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। একই অবস্থা ভিক্টোরিয়া নেসটারেংকো নামের আরেক নারীর। তারা বলেন, সারাক্ষণ মাথার মধ্যে যুদ্ধের ভয়ংকর দৃশ্য ঘুরছে। সে দৃশ্যগুলো আমরা ভুলতে পারি না। এ অবস্থাতেই রোজা পালন করছি। কিন্তু রমজানের পবিত্র সেই আবহটা খুঁজে পাচ্ছি না।

গত দুই রমজানে কোভিডের কারণে ঘরের ভেতরেই রোজা পালন করেছে ইউক্রেনের মুসলমানরা। এবার করোনার প্রভাব কমে আসায় তারা আশান্বিত হয়েছিল যে, আবারো আগের মতো জমজমাটভাবে রোজা পালন করা হবে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে তাদের সে আশা নিরাশায় রূপ নিয়েছে।

ভিক্টোরিয়া বলেন, রমজান মাসে আমাদের আরো বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করা দরকার, আরো বেশি সময় ধরে নামাজ পড়া দরকার। কিন্তু এ অবস্থায় ইবাদতে মন দেওয়া খুবই কঠিন। আমরা সেদিকে মনোযোগ দিতে পারছি না।

একটি এনজিওতে কাজ করা নিয়ারা জানান, রমজান উপলক্ষ্যে আমরা ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে সাজানোর কথা ভাবছিলাম। কিন্তু তখনই আমাদের পাশে বিমানন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ছিল, তেলের গুদামে আগুন জ্বলছিল।

শুনতে পাচ্ছিলাম, অচিরেই সেখানে রুশ সেনার চলে আসবে। তাই আমরা সেখান থেকে পালিয়ে আসি। আশ্রয় নিলাম পশ্চিম ইউক্রেনের চেরনিভিটসিতে। এখানে আসার পরও স্বস্তিতে নেই কেউ। কারণে যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা তাদের ওপর এসে পড়তে পারে।

নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত নিয়ারা বলেন, আগে পুরো পরিবার একসঙ্গে রোজা রাখতো, ইফতার করতো, নামাজ পড়তো। এখন পরিস্থিতি পুরোই ভিন্ন। পরিবার এখন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যুদ্ধের কারণে একেকজন একেক জায়গায় চলে গেছে। কেউ কেউ দেশ ছেড়েও চলে গেছে।

এখন আমরা নতুন জায়গায় এসেছি। এখানেও অন্যান্য মুসলমানদের সাথে একসাথে ইফতার করি। আমরা পরস্পরকে সাহায্য করি। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এটা সত্যিই কঠিন।

এরপরও নিয়ারা বিশ্বাস করেন, আল্লাহ তাকে এবং পুরো দেশবাসীকে এই সংকট উত্তরণে সাহায্য করবেন। তিনি বলেন, আপাতত আমরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি, আমরা শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি, শান্তির অপেক্ষায় আছি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ