বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

যাকাত প্রদানে সারাদেশে উপজেলা হিসেবে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা প্রথম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যাকাত প্রদানের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। সারাদেশের ৬৬ জেলার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা।

২০১৮ সালে কুমিল্লা জেলা প্রথম হয়েছিলো। চলতি বছরেও প্রথম স্থান অর্জনের আশা প্রকাশ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) কুমিল্লা। ইফা সূত্রমতে, ২০১৮ সালে ২৩ লক্ষ ১৯ হাজার ১৮শ’ টাকা সংগ্রহ করে প্রথম স্থান অর্জন করে কুমিল্লা।

২০১৯ সালে ৩১ লক্ষ ৬০ হাজার ৬০৬ টাকা সংগ্রহ করে আবারও দেশ সেরা হয়। ২০২০ সালে ৩৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৯০ টাকা সংগ্রহ করে সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

২০২১ সালে ১৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪০৪ টাকা সংগ্রহ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা। একই বছরে ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা সংগ্রহ করে প্রথম হয়েছে ময়মনসিংহ জেলা, ১২ লক্ষ ৫২ হাজার ২৪৬ টাকা সংগ্রহ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা।

ইফা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। ইফা জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালে কুমিল্লায় ১৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪০৪ টাকা সংগ্রহ করা হয়।

যার মধ্যে বরুড়া থেকে ৮ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩০ টাকা যা সম্ভব হয়েছে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম এর প্রচেষ্ঠায়। চৌদ্দগ্রাম থেকে এক লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, দাউদকান্দি থেকে এক লক্ষ ৮ হাজার ১১৫ টাকা, তিতাস থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ৯৩৫ টাকা ও লাকসাম থেকে এক লক্ষ টাকা যাকাত সংগ্রহ করা হয়। যা সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ৭০% বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা যাকাত বোর্ডের সদস্য সচিব ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লার উপ-পরিচালক, সরকার সারোয়ার আলম বলেন, কুমিল্লার ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সহযোগিতায় কুমিল্লা কার্যালয় প্রতি বছরই যাকাত আদায়ে শীর্ষে থাকে। জেলা যাকাত বোর্ডের প্রদান জেলা প্রশাসকের সার্বিক নির্দেশনায় এ যাকাত আদায় হয়ে থাকে।

ইফার নিয়মানুযায়ী আদায়কৃত যাকাত অর্থের ৭০% কুমিল্লা জেলার জন্য রাখা হয়। যা যাকাতে সুনির্দিষ্ট খাতে এ অর্থ ব্যয় করা হয়। বাকি ৩০% সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়। এ টাকা এতিম শিশুদের শিক্ষার কাজে ব্যয় করা হয়। ২০১৮ সালে কুমিল্লা সারাদেশে প্রথম হয়েছে। করোনা পরবর্তী এ সময়ে আমরা কাজ করছি। আশাকরি এবারও সবার শীর্ষে থাকবো।

ইসলামি চিন্তাবিদ লেখক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ বলেন, যাকাত মানে পরিশুদ্ধকরণ। যা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। সাধারণ ৫২.৫ তোলা রূপা বা ৭.৫ তোলা স্বর্ণের মালিক হলে যাকাত দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে যাকাত বণ্টনের নির্ধারিত আটটি খাত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে যাকাত প্রদানে দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখবে। একই সাথে সুদমুক্ত অর্থনীতি ব্যবস্থা তৈরিতেও যাকাতের ভূমিকা রয়েছে।

যাকাত বোর্ড জেলা কমিটির সভাপতি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা যাকাত বোর্ড কমিটির সভা করেছি। ১৭ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সভা করছেন। আমরা প্রচারণা করে যাচ্ছি। কুমিল্লা বড় জেলা। সমাজের বৃত্তবান মানুষরা যদি এগিয়ে আসেন। ইনশাআল্লাহ আমরা ২০২২ সালে সারাদেশে যাকাত প্রদানে প্রথম হতে পারবো।

উল্লেখ্য, সরকারি এ যাকাত ফান্ড ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ব্যাংক ও এলাকা ভিত্তিক মানুষ যাকাত প্রদান করে থাকেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ