আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ পাওয়া যায় বলে স্বীকার করলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় মাঝেমধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই, সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দিই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়াপল্টনে আমার নিজের বাসাতেই পানিতে গন্ধ আছে।' এ সময় তিনি নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ডুরার আয়োজনে 'নগরবাসীর চাহিদা ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা' সংলাপে অংশ নেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
ডায়রিয়ার প্রকোপে ওয়াসার দায় আছে কি না, জানতে চাইলে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে, যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি। ল্যাব টেস্ট করিয়ে সেগুলোতে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।’
ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘ঢাকায় পানির টোটাল চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদনক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার।’ তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
তাকসিম এ খান বলেন, ‘দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ শতাংশ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানির সংকট হয়, তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে। এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে এবং নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।’
ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তাকসিম বলেন, ‘ঢাকায় কাগজে কলমে মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দিই। এখন আবার অনেকে বলছেন মানুষ হয়ে গেছে বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লাখ। এতগুলো মানুষ হুট করে বেড়ে গেলে চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘কাউকে পানির আওতার বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমরা সব বস্তিবাসীর পানির অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার কারিগরি পরিচালক শহীদ উদ্দিন, সচিব শারমিন সুলতানা এবং ডুরা নেতৃবৃন্দ।
-এটি