আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাহে রমজান আল্লাহর বিশেষ উপহার। মুমিনদের দোয়া কবুলের মাস। আল্লাহর নৈকট্ট লাভের মাস। জাহান্নাম থেকে মুক্তি নিয়ে জান্নাতে যাওয়ার মাস।
এ মাসে বিশেষ কিছু সময় আছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ সময়গুলোতে বেশি দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ তায়ালা সে বান্দাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন যে বান্দা আল্লাহর কাছে চায়। যে কোনো প্রয়োজনে মহান রবের কাছে হাত ওঠায়।
এমন কিছু সময়ের মধ্যে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে রোজাদার ক্ষুধা-পিপাসায় ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই এই সময়ে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বেশি। কারণ এ ধরনের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় দোয়া করা হলে— তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এক হাদিসে আছে, রোজা অবস্থায় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে নবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৩/৩৪৫; সিলসিলাতুস সহিহা, আলবানি : ১৭৯৭ )
আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য এমন একটি দোয়া রয়েছে যা ফিরিয়ে দেয়া হয় না।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫৩; তাবরানি, হাদিস : ১২২৯-১২৩০/২; বায়হাকি, হাদিস : ৩৯০৫)
আরও পড়ুন: মেয়ের বাড়ির ইফতার: অমানবিক প্রথা
মোটকথা, হাদিস অনুযায়ী এবং ইফতারের আগে রোজাদারদের দুর্বল অবস্থায় থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতারের আগে দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই রোজাদারের উচিত, সারাদিন রোজা অবস্থায় দোয়া করার সুযোগ হাত ছাড়া না করা। বিশেষ করে ইফতারে আগের সময়টিতে দোয়ার জন্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।
ইফতারের দোয়া : بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম