আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয় না বাঙালীর। পেঁয়াজ যে শুধু রান্নায় ব্যবহার এমন না। আচার, ভর্তা, সালাদেও পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে সবাই চায়। মনে রাখবেন খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজ ও খোসাশুদ্ধ পেঁয়াজ কিন্ত একইভাবে সংরক্ষণ করা যায় না। আসুন জেনে নেই পেঁয়াজ সংরক্ষণের ৫ উপায়।
এক. শুকনো জায়াগায় রাখতে হবে: সবার আগে খোসাশুদ্ধ পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য শুষ্ক জায়গায় রাখতে হবে। তবে অন্ধকার নয়, আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ছড়িয়ে রাখতে হবে আস্ত পেঁয়াজ। তানাহলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজার থেকে আনার পর প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বের করে খবরের কাগজ বা পাটের বস্তায় ছড়িয়ে রাখা যায়। এছড়াও ঝুড়ি, র্যাক ইত্যাদি জায়গাতেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
দুই. ভিনেগারে সংরক্ষণ: খিচুড়ি বা ভাতের সঙ্গে অনেকেই কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন। আবার নানারকম ভর্তাতেও দরকার হয় পেঁয়াজ। এসব খাবারের জন্য পেঁয়াজের আচার করে সংরক্ষণ করতে পারেন। ভিনিগার, লবণ ও মসলা দিয়ে ব্রাইন বানিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।
তিন. ফ্রিজে সংরক্ষণ: এছাড়াও কাটা বা বাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু ফ্রিজের অন্যান্য খাবারে গন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে চাননা। একসঙ্গে অনেকটা পেঁয়াজ বেটে বা কুচিয়ে মুখঢাকা বাটিতে করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। আর ফ্রিজের নরমাল অংশে রেখে বেশিদিন ব্যবহার করা যায়না। এক্ষেত্রে দু’একদিনের জন্য কাটা পেঁয়াজ শক্ত মুখ আটা কোন বাটিতে রাখুন। এতে গন্ধ ছড়াবে না।
চার. বেরেস্তা বানিয়ে: এটিও ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। পেঁয়াজ পাতলা করে কুচিয়ে তেলে কুড়কুড়ে করে ভেজে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা বেরস্তা মুখ আটা বাটিতে করে ফ্রিজে রাখুন। পরে এই পেঁয়াজ বেরেস্তা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা যায়।
পাঁচ. গুঁড়া পেঁয়াজ: এটি অবশ্য বাণিজ্যিকভাবে সংরক্ষণের উপায়। আজকাল বাজারে ছোট ছোট কৌটায় পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদির গুঁড়া কিনতে পাওয়া যায়।
-এএ