আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: 'খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া তার মানবিক অধিকার, নৈতিক অধিকার। খালেদা জিয়া তো কাউকে জবাই করেননি। আমি মনে করি ন্যায়ের খাতিরে খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া উচিত। '
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আলোকচিত্র উৎসব’ নামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এ সময় খালেদা জিয়ার জামিন চাইছেন কিন্তু মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে বলেছিলেন, জাফরুল্লাহ বিএনপির কেউ নন। এ ব্যাপারে আপনি কী বলতে চান? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, 'মির্জা ফখরুল কী বলেছেন তাতে তো আমার কিছু করণীয় নাই। তারা যদি হারিকিরি করতে চান, আমি কী বলব! আমি বলতে চাই, আন্দোলন করে দলীয় সরকারের অবসান ঘটাতে হবে। নির্বাচনে সবাইকে অংশ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের মেরুদণ্ড সোজা করে ন্যায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা যদি তা ডেলিভার করতে না পারেন তাদের পদত্যাগ করা উচিত হবে। '
এ সময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৪ সালে তিন লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছিল অনাহারে। অথচ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের হিসাব মতে তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। কেন? ভুল শাসন, সুশাসনের অভাব, অনাচার-দুর্নীতি। সে জন্য যার খাদ্য প্রয়োজন তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছতে পারেনি। আজকে আবার দুর্ভিক্ষের মতো চলছে। এখন অবশ্য অনাহারে কেউ নেই। এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এখন কেউ অনাহারে নেই। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য নেওয়া অত্যন্ত অপমানজনক। আমি বারেবারে বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি রেশনিং করেন। কল্যাণকর রাষ্ট্র করার জন্য আপনি আলো দিয়েছেন, আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আপনি যে সারা দেশে আলো বিতরণ করলেন, কিন্তু এই আলো যদি কৃষকের বাড়িতে না যায় তাহলে তো আমাদের ব্যর্থতা। তাই আমার প্রস্তাব প্রত্যেক দরিদ্র কৃষককে তিনটা বাতি দেন। তাকে বিনা সুদে ঋণ দেন। আর সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়বে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ৯৬ সালের মতো একদিন আমাদের এখানেও আসেন। আমাদের ছাত্রের সাথে কথা বলেন। জনগণের সাথে কথা বলেন। আপনাকে দেখতে চাই। আপনাকে ভালোবাসতে চাই। আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি। '
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আরো বলেন, 'আপনার অনেক ভালো কাজ আছে, আপনি সাহস করে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। আপনি জয়ী হবেন। '
গণবিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিইও ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা পুরস্কারে ভূষিত প্রথম বাংলাদেশি নারী ডা. হালিদা হানুম আক্তার, আলোকচিত্রশিল্পী হাসান সাইফুদ্দীন চন্দন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে উপস্থাপিত প্রথম বাংলাদেশি আলোকচিত্রশিল্পী কে এম আসাদ।
এনটি