মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
প্রিয় ভাইয়েরা! যে ব্যক্তির দৃষ্টিতে আল্লাহ তায়ালার নূর ভাসে না— সেই হলো প্রকৃত অন্ধ। সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নীরব বার্তাগুলি শুনে না, বুঝে না— সে হলো সবচেয়ে বড় জাহেল। যে ব্যক্তি বাতাসের চিরচির আওয়াজ শুনেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি জমিনে বৃষ্টির পানির ফোঁটা পড়া দেখেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল। যে ব্যক্তি বিজলির ঝলক দেখেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি মেঘমালার গর্জন দেখেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল। যে ব্যক্তি পাহাড়ের উঁচু চূড়া দেখেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি বুলবুল পাখির সুন্দর আওয়াজ শুনেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল। যে ব্যক্তি সাপের ফনা ধরা দেখেও তার সৃষ্টিকর্তা ও মালিককে চিনলো না— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি হরিণের মৃগনাভি থেকে মেশকের সুঘ্রাণ দেখেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল। যে ব্যক্তি রেশমের পোকার থুথু থেকে রেশমের সুতা প্রস্তুত হতে দেখেও আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি চাটিয়াল ময়দানকে দেখেও নিজের সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল। যে ব্যক্তি পাহাড়ের পর পাহাড় দেখেও নিজের সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি হীরা, জাওহার, মণি—মুক্তা, ইয়াকুত, আকীক এমন আরোসব মূল্যবান পাথরের সুন্দর্য দেখেও নিজের সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
যে ব্যক্তি ছিপির ভিতর প্রবেশ করা পানি থেকে মুক্তা প্রস্তুত করা দেখেও নিজের সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারেনি— সেই হলো সবচেয়ে বড় জাহেল।
সূত্র: মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের বয়ানের অনুবাদ
-এটি