আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্বজয়ী হাফেজ, কারী ও আলেমদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলেন মন্তব্য করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।
এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইরানে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছে নিন্দেহে। হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু কুরআনের এই বিশ্বসেরা পাখিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, সাধারণত: দেখা যায় বিভিন্ন খেলাধুলা, বা অন্যান্য কোন ক্ষেত্রে এধরণের বিজয়ী হলে সর্বত্র মাতামাতি শুরু হয়। ব্যতিক্রম কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিজয়ীদের ক্ষেত্রে।
চরমোনাই পীর বলেন, হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমসহ ইতোপূর্বে যারা এ সুনাম অর্জন করেছে, তাদের সকলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি এবং সংবর্ধনার ব্যবস্থা করলে রাষ্ট্রেরই সুনাম হয়। যারা বাংলাদেশের পতাকাকে বুকে ধারণ করে বিশ্বে শুধু দেশের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি করেনি, ইসলামের প্রসারেও ভূমিকা রেখেছে। আমরা এই অনবদ্য ও অসাধারণ অর্জনে তাকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
চরমোনাই পীর বলেন, কুরআনে হাফেজকে বলা হয় ‘জীবন্ত কুরআন’। তার সিনায় পুরো কুরআন সংরক্ষিত থাকে। কুরআন ধারণ করা যেমন অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ, তেমনি মহান আল্লাহর এ এক অসীম রহমত। আমাদের দেশে অসংখ্য কুরআনে হাফেজ রয়েছে। তারা সম্পদে পরিণত হয়েছে। নীরবে-নিভৃতে ইসলামের খেদমতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের খোঁজ-খবর খুব কম মানুষই রাখে।
অগোচর ও অন্তরালে থাকা এই হাফেজরাই বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। কখনো চ্যাম্পিয়ন, কখনো প্রথম সারিতে স্থান পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কুরআনে হাফেজ ও ইমামের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সরকারের উচিৎ দেশের হাফেজ ও ইমামদের উন্নত প্রশিক্ষণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক্ষেত্রে তার কর্মপরিধিকে আরও বিস্তৃত করে বিশ্বজয়ীদে হাফেজ ক্বারী ও আলেমদের মর্যাদায় কাজ করা।
তিনি বলেন, যেসব মাদরাসা কুরআনের হাফেজ ও ইমাম তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, সরকারী উদ্যোগে তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া জরুরি। দক্ষ হাফেজ, ইমাম ও আলেমদের যুক্ত করা হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা যেমন অর্জিত হবে, তেমনি বিশ্বে ইসলামের খেদমতের পথও প্রসারিত হবে। এতে দেশের ভাবমর্যাদাও উজ্জ্বল হবে। বিষয়টি বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ হাফেজ, ইমাম ও আলেম তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
এনটি