মুযযাম্মিল হক উমায়ের
প্রিয় ভাইয়েরা! আজকেই তওবা করে নিন। কারণ, কবিরা গুনাহ তওবা ছাড়া মাফ হয় না। সুতরাংমা—বাবার অবাধ্য সন্তান কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
নফসের চাহিদায় জীবন পরিচালনাকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন। বদদীন এবং খেয়ানতকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন। বেনামাজী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন। গালি—গালাজকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
গান—বাজনাকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন। কুদৃষ্টিকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন। বড়দেরকে অসম্মানকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
জুলুম—নির্যাতনকারী কেউ থাকলে— আজই তওবা করে নিন। মিথ্যা বলার অভ্যাস কারো থেকে থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
পবিত্র কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত না করার অভ্যাস থাকলে— আজই তওবা করে নিন। জুয়া খেলার অভ্যাস থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
মদ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে— আজই তওবা করে নিন। হারাম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে— আজই তওবা করে নিন। জিনা করার অভ্যাস থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
চুরি করার অভ্যাস থাকলে— আজই তওবা করে নিন।
মোটকথা, যতো ধরনের অপরাধ আছে জানা মনে সবগুলির জন্য আজই তওবা করে নিন। কারণ, তওবা করা হলো আপনাদের কাজ।
আমার রব আপনাদের পাত্রকে পরিস্কার করে পুনরায় আপনাদের কাছে ফিরিয়ে দিবেন। আপনাদের দায়িত্ব শুধু একবার নিজেদের গুনাহের কথা খেয়াল করে খাঁটি মনে এই কথা বলা যে, আয় রব! আপনি আমাদের তওবাকে কবুল করুন। আমরা আপনার কাছে অতিতের সমস্ত গুনাহ থেকে তওবা করতেছি।
প্রিয় ভাইয়েরা! তওবা করার দ্বারা কি আপনারা ফেঁসে যাবেন। না। তওবা করার আগেই তো যা ফেঁসে যাওয়ার ফেঁসে ছিলেন। দুনিয়ার মধ্যে যখন এসেছেন, তখনি তো ফেঁসে গেছেন।
মানুষ বলে থাকে, তওবা করে ফেললে তো ঠিক পথে চলতে হবে— তাই তওবা করা বিলম্ব করছি। আমি বলি, যদি আপনি তওবা করে ফেলেন, তারপর কি হারাম কাজ করা ঠিক হবে বলে আপনার বিবেক বলে?
লোকেরা বলে, দাড়ি রাখলে তো সত্য বলতে হবে। আমি বলি, তাহলে কি দাড়ি ছেচে ফেললে মিথ্যা বলা জায়েজ হয়ে যায়? প্রিয় ভাইয়েরা!হারাম তা সর্বাবস্থায় হারাম। আর যা হালাল তা সর্বাবস্থায় হালাল।
অতএব ভাইয়েরা আসুন! আমরা নিজেরাও তওবা করি। সারা বিশ্ববাসীকে তওবার উপর নিয়ে আসি। নিজের ঘরবাসীকে তওবার উপর নিয়ে আসি। তাহলেই আমাদের মেহনত সফল। আমরাও সফল। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমলের তাওফিক দান করুন। আমীন। সূত্র: মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের বয়ানের অনুবাদ
-এটি