হাসান মুরাদ।।
আল্লামা তাকি উছমানি সাহেব দা.বা.বর্তমান সময়ের এক বিজ্ঞ,বরেণ্য ও সর্বজনমান্য ব্যক্তি। নিপুন ভবে ইসলামের সৌন্দর্য তুলো ধরার এক মহাপুরুষ। ইসলামের প্রায় প্রতিটি বিষয়ে লিখেছেন।
অদ্যাবধি লিখে চলেছেন মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে। আজ সামনে পড়ল হযরতের লিখিত রিসালা “ মেরে ওয়ালিদ মেরে শাইখ। একজন আদর্শ ছেলে আদর্শ পিতার কারনামা তুলে ধরেছেন রিসালাটিতে।সেখান থেকে পাঠকের কল্যাণের কথা চিন্তা করে ছোট এই লেখাটির উপস্থাপনা।
মুফতি তাকি উছমানি সাহেব তার শায়েখ ও মুরুব্বি ডাক্তার আব্দুল হাই রহ. এর কথা আলোচনা করে বলেন, হযরত ডাক্তার আব্দুল হাই সাহেব বিভিন্ন মজলিসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ৪টি উপায় বলতেন। ১. ইস্তেগফার ২. ছবর ৩. শোকর ৪. ইস্তেআযা বা আশ্রয় প্রার্থণা করা। এগুলো কলবের আমল।
কোন ব্যক্তি যদি আমলগুলো অভ্যাসে পরিনত করতে পারে তাহলে তার আল্লাহর সাথে স্থায়ী তায়াল্লুক (সম্পর্ক) হওয়ার নিয়ামত লাভ হবে। হযরত বলতেন- মানুষ তিন কালে আবর্তনশীল। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত। অতীত অপরাধের কথা স্মরণ করে মানুষ যখন অনুতপ্ত, ভীত হয়। ইসলাম তখন তার জন্য তওবার ব্যবস্থা করেছে।
হাদীসের ভাষায় “যে তাওবা করল তার যেন কোন গোনাই নেই”। আর বর্তমানে তার দুঃখ-কষ্ট মুসিবত আসলে ছবর ও ধৈর্য ইখতয়িার করবে। আনন্দ ও নেয়ামত অর্জন হলে আল্লহর শোকর আদায় করবে। ভবিষ্যতের বিষয়ে মানুষের আছে ভয়-শঙ্কা। সামনের জীবনে তার জন্য শুভ না অশুভ অজনা। তাই সর্বদা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে।
সারকথা মানুষ যদি অতীতের ব্যপারে তাওবা-এস্তেগফার, বর্তমানের ব্যাপারে ছবর ও শোকর এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে ইস্তেআযা বা আশ্রয় প্রার্থনার অভ্যাস করতে পারে তাহলে আল্লাহর সাথে তার গভীর প্রেম-ভালোবাসা তৈরি হবে।
পরিশ্রম না করেও প্রতিটা সময় ইবাদতে অতিবাহিত হবে।দ্বীনি বুঝ-ফাহাম না থাকার কারণে আমরা হতাশায় ভুগি। অথচ হাদীস শরীফে এসছে মুমিনের প্রতিটি কাজই আশ্চর্যময়। মুমিন দুঃখে ছবর করলেও নেকি পাবে। সুখে শোকর কোরলেও আজর পাবে। আল্লাহ আমাদের এই 4গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন।
-এটি