বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে বিদেশে বাংলাদেশের ৮০টি মিশনকে সংযুক্ত করে একটি ভার্চুয়াল ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুবাইয়ে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম ২০২২-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশে আপনাদেরকে (বিদেশি বিনিয়োগকারীদের) স্বাগত জানাতে পারলে খুশি হবো, যাতে আপনারা বাংলাদেশের ব্যবসার সুযোগগুলো থেকে আপনার অংশীদারদের খুঁজে পেতে পারেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দৃঢ়তা ও সংকল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের অগ্রগতির মূলে রয়েছে উদ্ভাবনী ও অদম্য চেতনা, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য অবিচলিত প্রবৃদ্ধির গতিপথকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের যাত্রায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথ ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যকূটনীতি অনুসরণ ও জোর দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে আমরা সক্ষমতাকে শক্তিশালী এবং এ বিষয়ে প্রচেষ্টা তীব্রতর করেছি।’

মোমেন বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছি। বিদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতদেরও এ বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য চিঠি লিখেছি এবং সেই সঙ্গে বিদেশিদের মধ্যে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আমরা কীভাবে আরও ভালো এবং সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারি, সে বিষয়ে তাদের মতামত চেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, বিডা, বেজা, বিএসইসি এবং হাই-টেক পার্ক অথরিটিসহ সংশ্লিষ্ট সব জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করতে এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য সব বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো মোকাবিলা ও সমন্বয় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ওয়ান গর্ভমেন্ট’ নামে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি উইং প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এবং বিশেষ করে উৎপাদনশীল সক্ষমতার জন্য প্রচুর প্রশংসামূলক অ্যাসেট পোর্টফোলিও স্থাপন করেছে। আমরা স্বল্পমেয়াদে এসএমই পর্যায়ের কনফিগারেশনে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মধ্যমেয়াদে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছি।

আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যমান বাজার শক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। আমি আপনাদের সবাইকে আমাদের এসএমই উদ্যোগে অংশ নিতে এবং আপনাদের ব্যবসায়িক চাহিদা পূরণে সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারি আপনি দক্ষ হাত খুঁজে পাবেন যারা বিশ্বের যে কোনও জায়গা অপেক্ষা দ্রুত কর্ম সম্পাদন করতে পারে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করার এবং সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যের অনুপাত হ্রাস করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বে অর্জিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক মাপকাঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ একটি ‘অলৌকিক উন্নয়ন’ হয়ে উঠেছে। আগামী কয়েক বছরে ঢাকা ন্যায়সঙ্গত বাজার প্রবেশাধিকার, রপ্তানি খাত সম্প্রসারণ সম্প্রসারণ, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এফডিআই প্রবাহ, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং বিদেশে পেশাজীবী ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান লাভের প্রত্যাশা করে। আমি এটাকে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি প্যাকেজ’ বলছি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ