বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফরে হতে পারে চারটি সমঝোতা স্মারক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় বাংলাদেশ।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, সরাসরি শিপিং লাইন চালু, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনে টেকসই উন্নয়ন, আইসিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেবে ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক মহামহিম মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে পাঁচদিনের সফরে আগামীকাল সোমবার (৭ মার্চ) দেশটি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের মোট আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। তবে বাণিজ্য ঘাটতি এখনও দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। এর মূল কারণ আমরা তাদের কাছ থেকে শুধু জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকি। রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য এই সফরে গুরুত্বারোপ করা হবে। সেজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সরাসরি শিপিং চালু নিয়ে আলোচনা করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ টেকসই উন্নয়নের জন্য আমিরাতের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে আলোচনায় বসব। এছাড়া আইসিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা দুই দেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের নতুন নতুন অধ্যায় সূচনা করতে ইচ্ছুক।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে কয়টি এমওইউ হবে- জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এ সফরে আমরা চারটির মতো এমওইউ করব। তবে কোন বিষয়গুলোতে এমওইউ করা হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

আগামী ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সঙ্গী থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ৮ মার্চ ওই দেশে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া এবারের সফরে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, খাদ্য সহযোগিতা, অভিবাসী শ্রমিকসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ