মাইমুনা আক্তার।।
আমানতের অর্থ হলো বিশ্বস্ততা। কারো বিশ্বস্ততার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিন্ত ও নির্ভয় হতে পারে। বিশ্বাসঘাতকতা না করা। পবিত্র কোরআনের আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে আমানতের এই সংজ্ঞাকে যথার্থ মনে হয়।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, তোমরা জেনেশুনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না এবং তোমাদের পরস্পরের আমানত সম্পর্কেও বিশ্বাস ভঙ্গ কোরো না। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৭)
উল্লিখিত আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের আমানত রক্ষার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সেটা আল্লাহর হকের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি বান্দার হকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমানতের ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়া একজন মুমিনের উত্কৃষ্ট চারিত্রিক গুণ।
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ আমানতের প্রতি যত্নবান হওয়াকে সফলদের গুণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘(অবশ্যই মুমিনরা সফল হয়েছে)... আর যারা নিজেদের আমানত ও ওয়াদা রক্ষা করে। ’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৮)। এর বিপরীতে আমানত রক্ষা না করাকে মহানবী (সা.) মুনাফিকের নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; ১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং ৩. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। (বুখারি, হাদিস : ৩৩)
তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত আমানতের ব্যাপারে শতভাগ যত্নবান হওয়া। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।
সূত্র: ইসলামী জীবন।
এনটি