আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের মধ্যে হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী রুবিনা খানম। অখিলেশের দলের নেত্রীর দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ মেয়েদের ঘোমটা এবং হিজাব।
কিন্তু তা নিয়ে যে ভাবে রাজনৈতিকীকরণ করা হচ্ছে, তা ঘৃণ্য। এর পরই এসপি নেত্রীর হুঙ্কার, যে হাত হিজাব ছোঁয়ার চেষ্টা করবে, সে হাত কেটে ফেলা হবে।
গতকাল শুক্রবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদে। আর শনিবার আলিগড়ে উপস্থিত হন উত্তরপ্রদেশের এসপি নেত্রী রুবিনা।
হিজাব-বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ভারতের মা-বোনদের সম্মান নিয়ে খেলার চেষ্টা করলে তাঁরাও ঝাঁসির রানি, রাজিয়া সুলতানা হয়ে উঠতে সময় নেবেন না।
হিজাবে হাত দিলে সে হাত কেটে ফেলবেন তারা। রুবিনার আরও সংযোজন, যে রাজনৈতিক দলই সরকার চালাক না কেন, মহিলাদের দুর্বল ভাবার মতো ভুল যেন তারা না করে।
উত্তরপ্রদেশে সাত দফার বিধানসভা ভোট চলছে। সেই ভোট আবহে সমাজবাদী পার্টি নেত্রীর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। অখিলেশের দলকে বিঁধেছে বিজেপি।
যদিও রুবিনা তার মম্তব্য নিয়ে অনড়। তার ব্যাখ্যা, ভারত বৈচিত্রপূর্ণ দেশ। তাই কে মাথায় তিলক কাটবেন, কে পাগড়ি বাঁধবেন আর কে হিজাব পরবেন, সেটা সেই ব্যক্তির উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। এ নিয়ে রাজনীতি করাটাই তো অন্যায়!
উল্লেখ্য, কর্নাটকে উদুপি-তে মুসলমান ছাত্রীরা হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবেন না, এই নির্দেশ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অন্য দিকে, কর্নাটকের স্কুল-কলেজের সেই আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে। সূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
-এটি