আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফাইজার ও মডার্নার কোভিড টিকার তৃতীয় (বুস্টার) ডোজের কার্যকারিতা টিকা নেওয়ার চতুর্থ মাস নাগাদ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি’র নতুন একটি গবেষণা নিবন্ধে স্থানীয় সময় শুক্রবার এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
দ্বিতীয় ডোজের পর কোভিড টিকার কার্যকারিতা কমার যথোপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত থাকলেও বুস্টার ডোজের পর সুরক্ষার সময়কাল নিয়ে এত দিন তুলনামূলক কম তথ্য ছিল।
২০২১ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা জরুরি সেবাদানকারী ক্লিনিকে সেবা নিতে এসেছেন এমন দুই লাখ ৪১ হাজার ২০৪ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়েছে সিডিসি। এ ছাড়া করোনার মতো গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রাপ্তবয়স্ক ৯৩ হাজার ৪০৮ রোগী সিডিসি’র এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া রোগীদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার হারের তুলনা করে সিডিসি’র গবেষণায় টিকার কার্যকারিতা অনুমান করা হয়েছে।
এ ছাড়া পরিসংখ্যানগত পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক সংক্রমণ, ভৌগোলিক অঞ্চল, বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য, স্থানীয় সংক্রমণের মাত্রা এবং রোগীর বৈশিষ্ট্য—যেমন আগে থেকে অসুস্থতার বিষয়টি গবেষণায় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে—বিশ্বজুড়ে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের আধিপত্য চলাকালে সিডিসি’র গবেষণার সময় দেখা গেছে, বুস্টার ডোজ নেওয়ার দুই মাস পর টিকার কার্যকারিতা ছিল ৮৭ শতাংশ। কিন্তু, চতুর্থ মাসে কার্যকারিতা কমে দাঁড়ায় ৬৬ শতাংশে।
এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর প্রথম দুই মাসে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯১ শতাংশ। কিন্তু, চতুর্থ মাসে গিয়ে তা কমে দাঁড়ায় ৭৮ শতাংশে।
গবেষকেরা বলছেন, এমআরএনএ ভিত্তিক টিকায় যে সুরক্ষা মেলে, তা তৃতীয় (বুস্টার) ডোজ নেওয়ার কয়েক মাস পরই হ্রাস পাচ্ছে বলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। তাই, কোভিডের বিরুদ্ধে সুরক্ষা বজায় রাখতে হলে বা উন্নত করতে হলে টিকার আরও ডোজ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
গত বুধবার হোয়াইট হাউসে কোভিড-১৯ নিয়ে ব্রিফ করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফসি বলেন, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম অথবা দুর্বল, যেমন—প্রবীণদের ক্ষেত্রে কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে হতে পারে।
-এটি