মুহিব্বুর রহমান উসামা
হিজাব পরিধান করা ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান। যদি কেউ এ বিধানের অমান্য করে তবে অবশ্যই তাকে পরকালের জবাবদিহির পাশাপাশি শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকের অনেক স্থানে পর্দা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা ঘরের মধ্যে অবস্থান করবে, অজ্ঞতার যুগের নারীদের মত নিজেদের প্রদর্শন করবে না। আর নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে, জাকাত আদায় করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৩৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে নবি! আপনি আপনার স্ত্রীদের, কন্যাদের এবং মুমিনদের নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।’
হিজাব বা পর্দা মানুষকে শয়তানের প্ররোচনা ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিরাপদ রাখে। আর হিজাব পরিধানকারী নারীরা মানুষের কুদৃষ্টি ও ফেৎনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। আর নারীদের নিরাপত্তা ও পুরুষের চারিত্রিক পরিশুদ্ধতার জন্যই নারীদের ওপর হিজাব তথা পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে। নারী যাতে নিজেদের ইজ্জত-আব্রু গায়রে মাহরাম ব্যক্তিদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে পারে।
আবার এ পর্দার বিধান পুরুষদের জন্যও ফরজ করা হয়েছে। মহিলাদের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি ও কামনাকে পুরুষের জন্য হারাম করা হয়েছে। যাতে শয়তানের প্ররোচনায় গোনাহের কাজে নিয়োজিত না হয়।
বর্তমানে বলতে শোনা যায় যে, ইসলাম হিজাব তথা পর্দার ওপর কোনো বিধি আরোপ করেনি। হিজাব নারীদের ব্যক্তিগত বিষয়। আসলে বিষয়টি মোটেই এমন নয়। বরং ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই এ ধরনের কথা বলা হয়ে থাকে।
মনে রাখতে হবেনারী প্রগতি, নারী মুক্তি, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে হিজাববিহীন খোলামেলা চলাফেরায় রয়েছে মারাত্মক কুফল। কেননা হিজাব তথা পর্দা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত আবশ্যক পালনীয় বিধান। যারা এ বিধানের অস্বীকার করবে তারা ইসলাম থেকে রেব হয়ে যাবে। আর যারা এ বিধানের অমান্য করবে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘনের মারাত্মক শাস্তি।
সর্বোপরি একজন নারী যখন বেপর্দায় চলাফেরা করে; তা শুধু নারীর জন্যই ক্ষতিকর নয় বরং তা পুরুষের জন্যও ক্ষতিকর। বেপর্দা হয়ে চলাফেরায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে নারীর ওপর। আর তা থেকে যুবক সমাজ চারিত্রিক কুলষিতায় জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে সমাজ চারিত্রিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হয়।
সুতরাং নারী-পুরুষ সবার জন্য পর্দা পালন করা সমান জরুরি। আর নারীদের জন্য হিজাব পরিধান করা আবশ্যক পালনীয় কাজ। যাতে সে তার রূপ ও সৌন্দর্য হেফাজত করবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারীকে হিজাব পরিধান করে সুন্দর ও কুলষমুক্ত সমাজ উপহার দেয়ার তওাফক দান করুন। আমিন।
-এটি