আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে বলেছেন, কাবুল ও আফগান জনগণের একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অংশীদারে পরিণত হয়েছে নয়াদিল্লী।
দুদেশ অংশীদারত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর প্রশংসা করে তিনি এসব কথা বলেন। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ভারত-আফগানিস্তান ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম সমর্থিত গান্ধী-বাদশা খান সপ্তাহ উদযাপনের সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আফগানিস্তানের জনগণের সাথে সংযোগ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে ভারত। আবদুল গাফফার খানের ১৩২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
আবদুল গফফার খান ‘ফ্রন্টিয়ার গান্ধী’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৮৯০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা।
আফগান রাষ্ট্রদূত মামুন্দজে নয়াদিল্লিতে তার বক্তৃতায় বলেন, বাদশা খান এবং গান্ধীর নীতি কর্মের স্তম্ভ, শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকারের টেকসই উন্নয়নকে একত্রিত করে। আফগানিস্তানে চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুশীল সমাজকে উন্নীত করার জন্য আফগানিস্তানের স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দুই অগ্রগামী নেতার নীতিগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য শক্তিশালী চালিকাশক্তি হতে পারে এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পারে। আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
মামুন্দজে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দুই মহান নেতার নেতৃত্বের মূল্যবোধ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক মানবিক সংকটের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সর্বত্র লাখ লাখ লোককে সঙ্কটে দেখছি। ২৪ মিলিয়ন আফগান জনগণ একটি তীব্র মানবিক সংকটের সম্মুখীন।
-এটি