আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরায়েলি অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ফিলিস্তিনি আইকন শেখ রাদ সালাহকে ১৫ বছরের জন্য পবিত্র আল আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে ওই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরদিন গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি অধিকৃত আল-কুদসের আল আকসা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন। এবিএনএ নিউজ।
শেখ রায়েদ সালাহকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে একটি গেটে কিছুক্ষণের জন্য ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী তাকে বাধা দেয়। মাগরিবের নামাজের আগে আল-আকসায় প্রবেশের পর কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নেতা শেখ সালাহকে স্বাগত জানান।
মুগরাবি গেটে ইসরায়েলি খননের প্রতিবাদ করার জন্য আল-আকসা মসজিদে শেখ রায়েদ সালাহর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পবিত্র স্থান পরিদর্শনের সময় শেখ সালাহ বলেন, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা আল আকসার সাথে তার আধ্যাত্মিক সংযোগটি কখনই ভেঙে দেয়নি।
শেখ সালাহ ১৭ মাস নির্জন কারাবাসে কাটানোর পর গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এদিকে একটি পৃথক ঘটনায় জেরুজালেমাইট কর্মী খাদিজা খোয়াইসকে সোমবার সকালে ইসরায়েলি থানায় তদন্তের জন্য তলব করা হয়েছিল। খোয়াইসকে সম্প্রতি আল-আকসায় ছয় মাসের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
আকসা মসজিদের প্রতিরক্ষার কারণে গত বছরগুলোতে খোয়াইসকে নিয়মতান্ত্রিক বিধিনিষেধ এবং বার বার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আল-আকসা মসজিদ নবী মুহাম্মদ সা.-এর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মসজিদটি বিশ্বনবী সা. এর আগে অনেক নবীর আবাসস্থল ছিল। এটি ছিল ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র। প্রথমে আল আকসার দিকে মুখ করে মুসলমানরা নামাজ পড়ত। পরে আল্লাহর নির্দেশে মক্কার পবিত্র কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে নামাজ আদায়ের নির্দেশ জারি হয়।
-এটি