বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

মধ্য আমেরিকার ছোট দেশ কোস্টারিকায় যেমন কাটছে মুসলমানদের দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মধ্য আমেরিকার ছোট দেশ রিপাবলিক অব কোস্টারিকা। তার উত্তরে নিকারাগুয়া, উত্তর-পূর্ব দিকে ক্যারিবিয়ান সাগর, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পানামা, দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর অবস্থিত।

এ ছাড়া দক্ষিণে ইকুয়েডর ও কোকোসল্যান্ডের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা আছে দেশটির। কোস্টারিকার মোট আয়তন ৫১ হাজার ৬০ বর্গ কিলোমিটার।

জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। তাদের মধ্যে ২০ লাখ মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করে। সান জোসে দেশটির সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী।
কোস্টারিকার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী।

মুসলিম সম্প্রদায় দেশটির সবচেয়ে ক্ষুদ্র ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ধারণা করা হয়, কোস্টারিকায় এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মুসলিম বসবাস করে। যাদের বেশির ভাগ ভারত-পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের অভিবাসী। অবশ্য অল্পসংখ্যক ধর্মান্তরিত কোস্টারিকান মুসলিমও আছে। কোস্টারিকান মুসলিমদের বেশির ভাগ মুসলিম সুন্নি। যদিও সামান্যসংখ্যক খোজা শিয়া আছে।

কোস্টারিকা দেশটির প্রথম মসজিদ ‘ওমর মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টার অব কোস্টারিকা’। রাজধানী সান জোসেতে অবস্থিত এই মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯০ সালে এবং ২০০২ সালে তা শেষ হয়।

মিসরীয় বংশোদ্ভূত শেখ ওমর আবদুল আজিজ মসজিদটি পরিচালনা করেন এবং মরক্কোভিত্তিক ‘ইসলামিক অরগানাইজেশন ফর কালচার, এডুকেশন অ্যান্ড সায়েন্স’-এর সঙ্গে যুক্ত। মুসলিম জনসংখ্যা কম হওয়ায় কোস্টারিকায় ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের তেমন কোনো বিকাশ ঘটেনি। তবে মুসলিমরা স্বাধীনভাবেই ধর্ম পালন করতে পারে।

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ড. আবদুল ফাতাহ সাসার বয়স ৮১ বছর। প্রায় ৫০ বছর আগে তিনি কোস্টারিকায় আসেন। তিনি ওমর মসজিদের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। নিউ আরব নিউজকে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে তাঁর বাড়িতে ১৪ জন মানুষ নামাজের জন্য একত্র হন।

তারা পরিকল্পনা করেন দেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণের। নিজেরা কিছু সংগ্রহ করেন এবং তা দিয়ে একটি পুরনো বাড়িসহ একখণ্ড ভূমি কেনেন। এক বছর পর তাঁরা একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং নামাজের ইমামতি ও ইসলামী শিক্ষা প্রদানের জন্য একজন ইমাম নিয়োগ দেন। মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতার আশায় তারা প্রতিবেশী দেশ পানামার মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

অবশেষে ২০০২ সালে মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয়। তিনি মনে করেন, ইসলামের বিষয়ে আগ্রহীদের শিক্ষা প্রদানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রচুর সময় ব্যয় করেছে এবং তার কিছু অর্জনও আছে। ড. সাসা বলেন, ‘মহামারির আগে আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতাম এবং শিক্ষার্থীদের জন্য মসজিদের দরজা খোলা ছিল। তারা এখন ঘরে চলে গেছে এবং তাদের ‘জুমের’ মাধ্যমে সংস্কৃতি ও ভাষা শেখানো হচ্ছে। ’

কোস্টারিকায় মুসলিমরা সবচেয়ে ক্ষুদ্র ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হওয়ার পরও সরকার জাতীয় ইস্যুতে মুসলিম সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দেয়। যেমন ২০১৬ সালে পানামা সীমান্তে আফ্রিকান শরণার্থীদের নিয়ে সংকট তৈরি হলে কোস্টারিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস গুইলারমো সোলিস ড. সাসাকে মুসলিম শরণার্থীদের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেন। সূত্র: নিউ আরব নিউজ ও উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ