মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
হজরত মাওলানা মাহমূদ রামপুরী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, একবার আমি এবং একজন হিন্দ তহসিলদার কোন প্রয়োজনে দেওবন্দ যাই। আমি শাইখুল হিন্দ হজরত মাওলানা মাহমূদ হাসান দেওবন্দী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার এখানে মেহমান হই। আর হিন্দ লোকটি তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে খেয়ে একসাথে ঘুমানোর জন্য আমার কাছে দেওবন্দ চলে আসে। আমার সাথে ঘুমানোর জন্য তাকেও একটি চৌকি দেওয়া হলো।
যখন সকলেই ঘুমে পড়লো, তখন আমি দেখতে পাই, হজরত শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা ঘর থেকে আমাদের কাছে চলে আসেন। আমি শুয়ে শুয়ে তিনি কী করেন দেখতেছিলাম।
আর মনে মনে ভাবছিলা, যদি তিনি কোন ভারি কাজ করেন, তাহলে আমি ওঠে হজরতকে সহযোগিতা করবো। নাহয়, খামাকা আমি সজাগ আছি বিষয়টি হজরতকে জানিয়ে কেনো পেরেশান করবো।
আমি এই ভেবেই চুপচাপ শুয়ে আছি। তখন আমি দেখতে পাই, তিনি আস্তে আস্তে হিন্দু লোকটির চৌকির দিকে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে তিনি চৌকিতে বসে হিন্দু লোকটির পা দাবানো শুরু করে দেন। আর হিন্দু লোকটি আরাম পেয়ে নাক ডেকে ঘুমাতে লাগলো।
তখন আমি ওঠে পড়ে হজরতের কাছে গিয়ে বলি, হজরত! আপনি কষ্ট করবেন না। আমি তার পা দাবিয়ে দিচ্ছি। হজরত শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা তখন আমাকে বলেন, ‘আরে তুমি যাও। তুমি গিয়ে শুয়ে থাকো। সে আমার মেহমান। আমি নিজেই এই খেদমত আঞ্জাম দিবো’।
হরজত মাহমূদ রামপুরী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, তো আর কী করা। আমি বাধ্য হয়েই তখন চুপ হয়ে যাই। আর এই দিকে তিনি ওই হিন্দু লোকের পা দাবিয়েই যাচ্ছিলেন। হজরতের মধ্যে বিনয়ের গুণ অনেক বেশি ছিলো। সূত্র: আরওয়াহে সালাসা: পৃ.২৭০
-এটি