আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ৬২২ সালে মহানবী সা. ও তাঁর সাহাবিরা মদিনায় হিজরতের পথ করেছিলেন। ১৪ শত বছর আগের সেই পথে পুনরায় মদিনায় যাওয়ার পথ নথিভূক্ত করতে কাজ করছে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ইতিমধ্যে ‘রিহলাত মুহাজির’ নামের একটি সংস্থা নথিভূক্তকরণ উদ্যোগের প্রথম ধাপ সম্পন্নের কথা জানায়।
পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে মক্কায় দ্য জাবালে সাওর কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে মহানবী সা.-এর জীবনী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কাজ করছে সংস্কৃতি ও জাদুঘর বিষয়ক সামায়া ইনভেস্টমেন্ট কম্পানি।
সামায়া কম্পানির প্রধান নির্বাহি ফাওয়াজ মেরহেজ জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বায়বীয় ডকুমেন্টেশন ও প্যানোরামিক ৩৬০ ডিগ্রি ফটোগ্রাফি ব্যবহার করে মহানবী সা.-এর হিজরতের পথ নথিভূক্ত করতে ‘মুহাজির’ নামের উদ্যেগের কাজ চলছে। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এ উদ্যোগের প্রথম পর্ব উদ্বোধন হয়।
তিনি আরো বলেন, মক্কা নগরীর সাওর পর্বতের গুহা থেকে শুরু করে ৪০টি স্টেশন অতিক্রম করে মদিনার মসজিদে কুবা পর্যন্ত পথ নির্ধারণ করা হয়। দ্য জাবাল সাওর কালচারাল সেন্টারে মহানবী সা.-এর হিজরতের ঘটনা উপস্থাপনের চিন্তা থেকে হিজরতের পথ নথিভুক্ত করার ধারণাটি আসে।
মহানবীর সা.-এর হিজরতের পথ প্রধানত প্যানোরামিক ৩৬০ ডিগ্রি ফটোগ্রাফি ব্যবহার করে দীর্ঘ এ পথ নথিভূক্ত করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে এসব স্থানে ফোর কে ড্রোন ব্যবহার করে ডিজিটালভাবে এ পথ নথিভূক্ত করা হবে। পথ নথিভূক্তির সময় এবড়োথেবড়ো রাস্তাঘাট ও সময়ের পরিক্রমায় ঐতিহাসিক স্থানের নাম পরিবর্তন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে তিনি জানান।
পথ অনুসন্ধানে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন ইসলামের ইতিহাস ও মহানবী (সা.)-এর জীবনী বিষয়ক একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাদের মধ্যে আছেন, মক্কার উম্ম আল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ইসলামী সভ্যতা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বিন সামিল আল সালামি ও অধ্যাপক সাদ বিন মুসা আল মুসা। সূত্র: আরব নিউজ
-এটি