আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘সব ধরনের মন্দের বিরুদ্ধে শান্তি যাত্রা’র অংশ হিসেবে পবিত্র হজ পালনের জন্য ইংল্যান্ড থেকে পায়ে হেঁটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন আদম মুহাম্মদ নামের ইরাকি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সিলিভরিতে এসে পৌঁছেছেন। ইংল্যান্ড থেকে গত বছরের ১ আগস্ট যাত্রা শুরু আদম। তার আশা, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে তুরস্ক থেকে সিরিয়া এবং জর্ডান পাড়ি দিয়ে তিনি সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরী পৌঁছতে পারবেন।
আদম মুহাম্মদ হেঁটে চললেও তার সঙ্গে রয়েছে তিন চাকার একটি ট্রলি। যাতে তার আসবাবপত্র বহন করছেন। মজার বিষয় হলো, এই টলি তাকে খুব একাট ঠেলতে হয় না। রাস্তায় দেখা হওয়া উৎসুক মানুষ তা টেনে নিয়ে যান। ওই টলিতে লেখা রয়েছে, ‘শান্তি যাত্রা, ইংল্যান্ড থেকে মক্কা।’ টলিতে একটি সাদা পতাকা লাগানো আছে।
ইরাকি বংশোদ্ভূত আদম গত ২৫ বছর ধরে ইংল্যান্ডে ব্রিটেনে বসবাস করছেন। যাত্রা শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য আদমের দুই মাস সময় লেগেছে। একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা তাকে সহায়তা করেছে।
পায়ে হেঁটে মক্কা যাত্রা প্রসঙ্গে আদম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার হৃদয় থেকে একটি আওয়াজ আসছে। সেই আওয়াজকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। এ জন্য আমি বাড়ি থেকে মক্কা পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করার চেষ্টা করছি। আশা করি, আমি এটা সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো। আমার হৃদয়ের ডাক, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে আছে।’
তুরস্কে পৌঁছানোর পর অনলাইনে অনেকেই আদম মুহাম্মদের দুঃসাহসিক যাত্রা সম্পর্কে অবগত হন। পরে তাকে তুরস্কের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাকে দেখতে, তার সঙ্গে কথা বলতে ভীড় জমায়। মাতিন উলুকুশ নামের এক তুর্কি নাগরিক দুই দিন তাকে সঙ্গ দিয়েছেন।
মুহাম্মদ নামের আরেক তুর্কি নাগরিক বলেন, তিনিও আদম মুহাম্মদকে যাত্রাপথে সঙ্গ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। টেকিরদাগ থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত তিনি তার সঙ্গেই ছিলেন। তুরস্কের মানুষের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে।
ইংল্যান্ড থেকে মক্কায় হেঁটে হজপালনের যাওয়া প্রথম ব্যক্তি আদম মুহাম্মদ নন। এর আগে ২০২০ সালে ফরিদ ফাইদি নামের এক ব্যাক্তি ইসলাম সম্পর্কে পশ্চিমা মিডিয়ার ভুল ধারণা দূর করতে এই ধরনের যাত্রা করেছিলেন।
-এটি