ইবনে নাজ্জার
দেওবন্দ থেকে>
ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দের মুনাযারা ভিত্তিক সংগঠন ‘তাকবিয়াতুল ইসলাম’র অধীনে বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের বিষয় ছিল- নবুওয়াত নিয়ে আপত্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব।
গত ২০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় আয়োজিত হয়েছে এবছরের সমাপনী বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
এতে সভাপতিত্ব করেন- মাসিক পত্রিকা দারুল উলুম দেওবন্দের সম্পাদক ও দারুল উলুম দেওবন্দের মুখপাত্র মাওলানা সালমান বিজনুরি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন- দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসিম নোমানী।
বিচারক হিসেবে ছিলেন- হাদিস বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফি। অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন- দারুল উলুম দেওবন্দের মুনাযারা বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা তাওহীদ আলম বিজনুরি ও মাওলানা মুজ্জাম্মিল বাদায়ুনি।
সঞ্চালনা করেন- আরবি সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহাম্মাদ সাদাত হুসাইন আমরুহি। কুরআন তেলাওয়াত করেন- তাজবিদ বিভাগের অন্যতম উস্তাদ কারি মাওলানা আফতাব আলম সাহেব আমরুহি।
আলোচ্য বিষয়ে সংক্ষেপে সারগর্ভ আলোচনা করেন সংগঠনের সভাপতি ইফতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ মুআজ কানপুরি।
মঞ্চের ডান পাশে ছিলেন উক্ত বিষয়ের পক্ষে মেশকাতের ছাত্র দলপতি নাছির উদ্দিন ও তার সদস্যরা। বামে ছিলেন উক্ত বিষয়ের বিপক্ষে আরবি সাহিত্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র দলপতি জাহাঙ্গীর আলম আমরুহি ও তার সদস্যরা।
উভয় দলের সদস্যরা একের পর এক বক্তৃতা দেয়। নিজেদের বক্তৃতায় বিভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেন বিষয়বস্তু। মুনাযারা শেষে মুনাযারার বিচারক মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফি সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় বিষয়বস্তুর উপর কিছু কথা বলেন। পরে তিনি ফয়সালা শুনান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা সালমান বিজনুরি প্রথমে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণী শেষে উভয় দলের সদস্যদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত উপদেশ দেন। উপস্থিত সবাইকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
-এএ