আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির এক সংসদ সদস্যসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত।
গত শুক্রবার দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাবেক সংসদ সদস্য ফিও জেয়র থাও ও অধিকারকর্মী কিয়াও মিন ইউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা, বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনার অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকমাস আগে।
মিন ইউয়ের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে, মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে সরকারী গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ আরো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরই মধ্যে অবৈধ ওয়াকিটকি আমদানি, দখলদারি, করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত নভেম্বরে ইয়াঙ্গুনের একটি ফ্ল্যাট থেকে দুটি পিস্তল, একটি বন্দুক এবং বেশকিছু গুলিসহ এনএলডিনেতা ও জনপ্রিয় হিপহপ সংগীতশিল্পী ফিও জয়র থাউকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় জান্তা সরকার।
গতকাল শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের জান্তা পরিচালিত সংবাদমাধ্যমে সরকারের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিবৃতির সঙ্গে ফিয়াউ জয়র থাউ এবং কিয়াউ মিন ইউ’র হাতকড়া পরিহিত ছবিও প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মিডিয়া টিম।
২০১৫ সালে সু চির দল এনএলডির হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফিও জয়র থাউ। সেবারই বেসামরিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ফিরে আসে মিয়ানমার। এর আগেও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গাওয়া তাঁর হিপহপ সংগীত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০০৮ অবৈধ সংগঠনে জড়িত থাকা এবং বিদেশি মুদ্রা রাখার দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করেন তিনি।
এ ছাড়া সম্প্রতি অং সান সুচিকেও ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের সামরিক আদালত। অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও তা নিজের কাছে রাখা, কোভিড নিয়মনীতি ভাঙা এবং সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগে এ সাজা দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে বন্দি করে। এরপর থেকে সেখানে চলছে জান্তাবিরোধী রক্তক্ষয়ী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে মিয়ানমারে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
-এটি