আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রতি বছর প্রায় চার লাখ যোগ্য বিদেশি কর্মীকে জার্মানিতে নিয়ে আসতে চায় দেশটির নতুন জোট সরকার। জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা এবং কর্মীর অভাব পূরণ করতে দেশটিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিতে নিয়োগের কথা ভাবছে জোট সরকার।
জোট সরকারের শরিক এফডিপির সংসদীয় নেতা ক্রিস্টিয়ান ড্যুর বিজনেস ম্যাগাজিন ভির্টশাফটসভকে-কে বলেন, ‘দক্ষ কর্মীর অভাব এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে জার্মান অর্থনীতিতে তার ভালোরকম প্রভাব পড়ছে৷ আধুনিক অভিবাসন নীতির মাধ্যমে দক্ষ কর্মীর অভাবকে পূরণ করতে হবে৷ যত দ্রুত সম্ভব দেশের বাইরে থেকে চার লাখ দক্ষ কর্মী আনার লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে আমাদের।'
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলত্স-এর এসপিডি দল সবুজ ও এফডিপি দলের সঙ্গে জোট গড়তে যে চুক্তি করেছে তাতে জাতীয় ন্যূনতম বেতন প্রতি ঘণ্টায় ১২ ইউরো (১,১৭২ বাংলাদেশি টাকা) করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পয়েন্ট সিস্টেম চালু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে দক্ষ কর্মী আনার কথাও বলা হয়েছে।
জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের অনুমান, চলতি বছরে জার্মানিতে শ্রমশক্তি কমবে আরও তিন লাখ৷ যত সংখ্যক তরুণ কাজে যোগ দিচ্ছেন, তুলনায় অনেক বেশি প্রবীণ কর্মী অবসর নিচ্ছেন।
ফলে ২০২৯ সালে এই ফারাকটা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ছয় লাখ ৫০ হাজারে৷ ২০৩০ সালে প্রায় ৫০ লাখের মতো কর্মক্ষম বয়সের লোকেদের ঘাটতি রয়ে যাবে৷ মহামারি সত্ত্বেও ২০২১ সালে জার্মানিতে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ কর্মরত ছিল।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
এনটি