বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

মাটি-পাথরের দুর্গ আল-আরফা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আল-আরফা দুর্গ সৌদি আরবের তায়েফের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থাপত্যকীর্তি, যা কয়েক শতাব্দীকালের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে। হিজরি ১৩ শতকে ঐতিহাসিক আল-আরফা পর্বতমালায় দুর্গটি নির্মিত হয়। পর্বতমালার নামানুসারেই ‘আল-আরফা’ দুর্গ বলা হয়।

তবে দুর্গটি শাইক ক্যাসল বা শারিফ ক্যাসল নামেও পরিচিত। আল-আরফা দুর্গটি সৌদি আরবে বিখ্যাত দুর্গগুলোর একটি। প্রাচীনকালে তা গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সামরিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

আল-আরফা দুর্গটি যাযাবর জাতিগোষ্ঠীর চলাচলের পথে অবস্থিত হওয়ার কারণে এবং তার কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব বহন করত। ধারণা করা হয়, তৎকালীন তুর্কি শাসকরা বাণিজ্য কাফেলাগুলোকে উপজাতীয় আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন।

তিনতলাবিশিষ্ট দুর্গের প্রথমতলা পাথরের তৈরি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা মাটির তৈরি। দুর্গের অভ্যন্তরে শাসকশ্রেণি ও সাধারণ কর্মীদের জন্য পৃথক আবাসনব্যবস্থা ছিল।

এ ছাড়াও আছে একটি প্রশস্ত প্রাঙ্গণ, বড় কক্ষ (দরবার হল ধরনের), গুদামঘর, ছোট জেল, নামাজের স্থান ও বৃত্তাকার পর্যবেক্ষণ চৌকি, যা সাদা স্ফটিক দ্বারা সজ্জিত। আরো আছে কয়েকটি প্রবেশপথ ও পানির কূপ, যা সারা বছর পানি সরবরাহ করে। দেয়ালে অঙ্কিত আছে বহু প্রাচীন শিল্পনিদর্শন।

আল-আরফা পর্বতমালা পৃথিবীর বৃহত্তম ‘রক আর্ট’ (শিলাশিল্প) ও শিলালিপি সাইটগুলোর একটি। আরবি ইতিহাসে আগ্রহী পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণকেন্দ্র। পর্যকটরা পর্বতমালায় ছাগল, হরিণ ও গরুর মতো বহু প্রাণীর পেট্রোগ্রাফির দেখা পাবে। যেগুলো খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে আঁকা। এ ছাড়া পর্বতমালায় তৎকালে ব্যবহৃত কুফিক ও থামুডিকলিপির নিদর্শন পাওয়া—বর্ণ প্রতীকায়নে শিকারযন্ত্রের ব্যবহার লক্ষণীয়।

সূত্র: আরব নিউজ ও ওয়াফি অ্যাপ ডটকম

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ