আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকদের বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
কূটনীতিকদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বছরের প্রথম কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংকালে ড. মোমেন বলেন, গত বছরটি ছিল পুনরুদ্ধার ও প্রত্যাশার বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর যুগল উদযাপনের মধ্য দিয়ে ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশ চমকপ্রদভাবে এগিয়ে চলছে।
মহামারীকালে বাংলাদেশ সরকারের সফল ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন প্রণোদনা ও প্যাকেজ তুলে ধরেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত বছর ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি সংক্ষিপ্তভাবে চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। দেশে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ ও ফলাফল সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসব নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ব্যবসায়িক অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রায় ৪০ জন কূটনীতিক ব্রিফিংয়ে যোগ দেন। এরপর একটি প্রশ্নোত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে এলডিসি উত্তরণ ব্যবসা ও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
-এএ