আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হন। আহতাবস্থায় ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবারের এই দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রী লাফিয়ে বাঁচেন। দিগবিদিক ছুটতে গিয়ে অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে হারিয়ে যান পরিবার থেকে। আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন ও উদ্ধারকারীরা।
সেদিন সফিকুল আলি নামে এক ছেলে তার পরিবার থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। দুদিন পরে মসজিদের মাইকের এক ঘোষণায় তাকে খোঁজে পায় পরিবার।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সফিকুল আলি। ফোন হারিয়ে গিয়েছিল তার। তাই পরিবারের কোনো নম্বর তার মনে ছিল না।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তখনই সফিকুলের কথা জানতে পারেন। সফিকুল প্রতিবেশীর ফোন নম্বর মনে করার পরেই রেলমন্ত্রী দ্রুত ওই প্রতিবেশীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু, প্রতিবেশীকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর স্থানীয় পোস্ট অফিসকে সফিকুলের বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু, তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি পোস্টম্যান।
ঘটনাক্রমে সেই সময় মসজিদে আজান হয়। আজান শোনার পরেই সফিকুলের সম্পর্কে মসজিদে মাইকে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রেল কর্মকর্তারা। কোনো দেরি না করে নামাজ শেষ হওয়ার পরেই সফিকুলের কথা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাক্রমে সেই সময় তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য সেই মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। কারণ, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শফিকুলের খোঁজে ময়নাগুড়িতে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘোষণা শোনার পর কোনোরকম দেরি না করে তারা হাসপাতালে গিয়ে শফিকুলের সঙ্গে দেখা করেন। সফিকুলকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশি তার পরিবারের লোকেরা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
এনটি