আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেউ কেউ আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলছেন; ডাইরেক্ট অ্যাকশনের হুমকি দিচ্ছেন। আসলে পায়ের নিচে মাটি নেই বলে এসব তাদের নিজেদের ওপর জেঁকে বসা ভয় তাড়ানোর নির্জীব হুংকার। আত্মবিশ্বাস হারানো এক ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চাই- কাদের নিয়ে তারা যুদ্ধ করবেন? কেন যুদ্ধ করবেন? তাদের যুদ্ধ কী লুটপাট, দুর্নীতি আর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য? আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত।’
‘যারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষক, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত এবং যারা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক অপরাজনীতির উত্তরাধিকার, তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে’ যোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যে কোনো ধরনের আস্ফালনকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা হবে।
সারাদেশে অত্যন্ত আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর পরিবেশে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করছি- নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনসমূহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং কমিশনের কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।
আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শক্তিশালী কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের মতামত ও প্রস্তাবনা সংলাপে উপস্থাপন করা হবে। আমরা মনে করি, পারস্পরিক আলোচনা যে কোনো জটিল সমস্যার সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
এনটি